বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানিয়েছেন যে আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের জন্য বিশেষভাবে একটি ‘সুপার ফ্রাইডে’ ইভেন্টের আয়োজন করে; সেখানে রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস জানান, “যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে বাংলাদেশসহ যোগ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের সুযোগ পৌঁছে দেয়া একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। যুগান্তকারী গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।”
শিক্ষার্থীরা জানায়, শিক্ষার জন্য তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়। শিক্ষার্থী ভিসা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য তারা দূতাবাসের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে।
দূতাবাসের কনস্যুলার কর্মীরা অ-অভিবাসী শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদনকারী ৫০০ জনের বেশি শিক্ষার্থীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। গত বছর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মীরা, ভিসার অপেক্ষার সময় কমাতে, ৬ হাজারের বেশি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা আবেদনকারী এবং শিক্ষার্থীসহ ২ হাজারের বেশি অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকারের জন্য ১৬ সপ্তাহ সময় নিয়েছে।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে, ২০০টির বেশি দেশ থেকে ৯৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৯ জন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর নাম যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নথিভুক্ত হয়েছে। স্টুডেন্ট ভিসার সংখ্যার দিক থেকে, ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাস বর্তমানে বিশ্বে সপ্তম স্থানে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ২ হাজার ৮০০ থেকে বেড়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ১০ হাজার ৫৯৭ জনে উন্নীত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বলেছে, যদিও কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিনিময় এবং শিক্ষার্থীদের গতিশীলতাকে ব্যাহত করেছে; তবুও, তারা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনে সহায়তা করতে এবং ‘শরৎ সেমিস্টার’ শুরুর আগে যত বেশি সম্ভব শিক্ষার্থীর সাক্ষাতকার গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ‘সুপার ফ্রাইডে’ অফারসহ বিভিন্ন বিশেষ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।