অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ


যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীম। (ফাইল ছবি)
যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীম। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশান থানায় দায়ের করা অর্থপাচার আইনের মামলায়, যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া এই মামলায় আরো সাত অভিযুক্তকে চারবছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় দেন।

জি কে শামীম ছাড়া, অন্য দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন; মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিসুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, “অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদে কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শকে লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।”

রায়ে জন্য দিন ধার্য ছিলো গত ২৫ জুন। এর মধ্যে অভিযুক্ত পক্ষকে অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার অনুমতি দেয়া হয়। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেননি। এছাড়া, রায় প্রস্তুত না হওয়ায়, আদালত তারিখ পিছিয়ে ১৭ জুলাই ঠিক করেন।

গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে। ৬ মার্চ শেষ করে। এর আগে, ১৭ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়। এসময় জিকে শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। তখন তার কাছে একটি অস্ত্র পাওয়া যায়। এর পর, ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

XS
SM
MD
LG