মঙ্গলবার জয়েন্ট সিকিউরিটি এরিয়া বা জেএসএ-তে দুই কোরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করার পর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিক উত্তর কোরিয়ার হেফাজতে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোরীয় যুদ্ধের বিরতি বজায় রাখার জন্য সীমান্ত গ্রামে অবস্থিত একটি বহুজাতিক সামরিক বাহিনী জাতিসংঘ কমান্ড বলেছে, এটি “ঘটনাটি সমাধান করতে” উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর সাথে কাজ করছে। তারা নিশ্চিত করেছে যে,ওই ব্যক্তি জেএসএ ওরিয়েন্টেশন সফরে ছিল।
উচ্চ চাপে থাকা সীমান্ত শহরে দুই পক্ষের কোনো গুলি বিনিময় হয়নি। ওই শহরে দুই কোরিয়ার সেনারা একে অপরের মুখোমুখি হয়ে চব্বিশ ঘণ্টা সীমান্ত পাহারা দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর নির্ভরযোগ্য সূত্রের মতে, যে আমেরিকান ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করেছে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন সৈনিক। ইউনাইটেড স্টেটস ফোর্সেস কোরিয়ার সাথে তিনি অবস্থান করছিলেন।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পারমাণবিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে পৌঁছোনোর পর তাদের সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য উস্কানির জন্য উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।
ইউএসএস কেন্টাকি ১২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার ট্রাইডেন্ট টু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম। এটির আগমন একটি প্রতীকী পদক্ষেপ যে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হামলার ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে থাকবে।
মঙ্গলবার সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউস ইন্দো-প্রশান্ত সাগরীয় সমন্বয়কারী কার্ট ক্যাম্পবেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের কয়েক দশকের মধ্যে এটিই প্রথম সফর।
ভয়েস অফ আমেরিকা কোরীয় বিভাগ এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।