অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের রাজধানী দিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জোর দু'দেশের সুসম্পর্ক উন্নয়নে


আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের রাজধানী দিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জোর দু'দেশের সুসম্পর্ক উন্নয়নে
আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের রাজধানী দিল্লি আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জোর দু'দেশের সুসম্পর্ক উন্নয়নে

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মনে করে দু’দেশই। সেই সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসাবে সদ্যই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ভারতীয় রুপিতে শুরু হয়েছে। মাস দুয়েকের মধ্যে দুই দেশের সুসম্পর্কের সরণিতে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও কিছু সুবিধা।

সেপ্টেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন। ভারত বর্তমানে ওই গোষ্ঠীর নেতৃত্বের আসনে। বাংলাদেশ জি-২০-র সদস্য না হলেও নরেন্দ্র মোদী দুই দেশের সম্পর্কের মর্যাদা দিতে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনার সেপ্টেম্বর মাসে ওই সফরের সময় চালু হবে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট-২। এছাড়া ৬৫-কিলোমিটার খুলনা-মংলা বন্দর রেলওয়ে এবং আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেলওয়ে লিঙ্কেরও উদ্বোধন হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে প্রকল্পগুলির সূচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা মঙ্গলবার ১৮ জুলাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাৎকারকে সৌজন্যমূলক বলা হলেও জানা গিয়েছে, দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়ে কথা হয় দু’জনের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।

মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট-২ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের রামপালে। ৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মংলা বন্দর আখাউড়া (বাংলাদেশ) এবং আগরতলা (ভারত) রেলওয়ে লিঙ্ক প্রকল্পে ভারত সরকারের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা আছে।

এছাড়া ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির অনুমতিও দিয়েছে ভারত সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এজন্য মঙ্গলবারের বৈঠকে ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন ভারত একই ধরনের সহযোগিতা ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্যও করবে।

বাংলাদেশ সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে ভারতীয় রুপির পাশাপাশি এরপর বাংলাদেশি টাকাতেও দু-দেশের মধ্যে বাণিজ্য লেনদেন শুরু হবে। চালু হবে রুপি কার্ড এবং টাকা কার্ড।

সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছে। ‘ভিশন ২০৪১’ নামে উন্নয়ন পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের সরকার। কূটনৈতিক মহলের মতে, বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে উপকৃত হবে ভারতও। ভারতের হাই কমিশনার বাংলাদেশ সরকারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির জি-২০ সম্মেলনে ভারত গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের আওয়াজ তুলবে বলে ভারতীয় দূতের কাছে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

XS
SM
MD
LG