অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আরও ৪০টি দেশ ব্রিকস’এ যোগ দিতে চায়, জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা


দক্ষিণ আফ্রিকার স্যান্ডটনে ১০তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আগে একজন প্রতিনিধি একটি ব্রিকস লোগোর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ২৪ জুলাই, ২০১৮। ফাইল ছবি।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্যান্ডটনে ১০তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আগে একজন প্রতিনিধি একটি ব্রিকস লোগোর সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। ২৪ জুলাই, ২০১৮। ফাইল ছবি।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা- দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির এই দেশগুলোর গ্রুপ ব্রিকস। গ্রুপটি নিজেকে পশ্চিমা-আধিপত্যশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে অবস্থান তৈরি করেছে। ব্রিকস কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের উদ্দীপনা প্রায় ৪০টি দেশের মধ্যে গ্রুপটিতে যোগদানের আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। ব্লকটি আগস্টে একটি শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বর্তমান ব্রিকস’এর সভাপতি রাষ্ট্র দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী মাসে জোহানেসবার্গে তিন দিনের বৈঠকের আয়োজন করেছে এবং বলেছে, আলোচ্যসূচিতে ব্রিকস সম্প্রসারণের বিষয়টি থাকবে।

ব্রিকস’এ যোগ দিতে চাইছে এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনা, ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিকস রাষ্ট্রদূত অনিল সুকলাল সাংবাদিকদেরকে বলেন, এটিতে সংগঠনের প্রতি বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের দেশগুলোর আস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়।

সুকলাল বলেন, ব্রিকসকে “একটি শক্তিশালী গ্রুপ” হিসেবে দেখা হয়। তিনি আরও বলেন, ক্রয় ক্ষমতার সমতা দ্বারা পরিমাপ করে দেখা গেছে এটি বিশ্ব জিডিপির ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ উৎপন্ন করে যা কিনা জি সেভেন কে ছাড়িয়ে গেছে। জি সেভেন একটি উন্নত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর ফোরাম। যুক্তরাষ্ট্রও এর সদস্য।

কিন্তু বিশ্লেষকরা ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্রিকস কী কী সুনির্দিষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মূল্যায়ন করে থাকেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্যতীত সমস্ত ব্রিক্স রাষ্ট্রপ্রধানরা আগামী মাসে সম্মেলনে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকবেন। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারা ওয়ান্টেড হওয়াপুতিন দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করতে পারবেন না।

XS
SM
MD
LG