অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নাগরিক সংগঠন সুজন-এর সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন


ড. বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক। (ফাইল ছবি)
ড. বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক। (ফাইল ছবি)

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলার আবেদন করেছেন চার আইনজীবী।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে, অনতিবিলম্বে তার জামিনের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেয়ায় এই আবেদনটি করেন সুপ্রিমকোর্টের চার আইনজীবী।

সোমবার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাইকোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। আবেদনকারী অন্য আইনজীবীরা হলেন; মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, মাহফুজুর রহমান রোমান ও শফিক রায়হান শাওন। মনিরুজ্জামান রানা বলেন, “সুজনের দুজনের বিরুদ্ধে আমরা আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলার আবেদন করেছি।”

গত ১০ জুলাই আপিল বিভাগ খাদিজাকে জামিন না দিয়ে, তার জামিন আবেদন চার মাসের জন্য মুলতবি করেন। পরে গত ১২ জুলাই খাদিজার মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দেয় সুজন। বিবৃতিতে সুজনের সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “কেবল সরকার বিরোধী প্রচারণা ও কটূক্তির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মাসের পর মাস জামিন না দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”

তারা বলেন, “এভাবে জামিন না দিয়ে খাদিজার মতো একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন রাষ্ট্র কোনোভাবেই ধ্বংস করে দিতে পারে না।” সুজনের পক্ষ থেকে খাদিজাকে অবিলম্বে জামিন দেয়াসহ তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়।

একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ। এ মামলায় প্রায় ১১ মাস ধরে কারাগারে আছেন খাদিজা।

XS
SM
MD
LG