অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইরানে যুদ্ধের সাজ-পোশাকে আশুরা পালন


আশুরার আগে, মধ্য বাগদাদে শোকপালনে অংশ নিয়েছে এক ইরাকি শিয়া বালক; ২৭ জুলাই, ২০২৩।
আশুরার আগে, মধ্য বাগদাদে শোকপালনে অংশ নিয়েছে এক ইরাকি শিয়া বালক; ২৭ জুলাই, ২০২৩।

বছরে একবার, মধ্য ইরানের নুশ আবাদ শহরে, পুরুষরা যোদ্ধার সাজ-পোশাক পরেন এবং শিশুরা শিয়া ইসলামের অন্যতম পবিত্র এক স্মৃতিকে উদযাপন করতে অতিপ্রাকৃত সত্তাকে তুলে ধরে।

আশুরা মহররম মাসের ১০ তম দিনে পালিত হয়। দিনটি পালিত হয় সপ্তম শতাব্দীতে বর্তমান ইরাকের কারবালার যুদ্ধের নবী মুহাম্মদ (স:) এর নাতি ইমাম হুসেইনকে হত্যার স্মৃতির স্মরণে।

নুশ আবাদে ইরানি ভক্তরা "কাফেলা" বা কারাভ্যান নামে একটি কুচকাওয়াজ-এর আয়োজন করে। আশুরার দুই দিন আগে বিভিন্ন সড়কে এই অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার, নগরবাসী তাদের ঐতিহ্য ধারণ করে দিনটি পালন করেছে। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে এই শহরে এটা পালিত হয়ে আসছে। এ সময় তারা নক্সাদার পোশাক পরিধান করে। এসব পোশাকে প্রতিফলিত হয় ইমাম হুসেনের আমলে ব্যবহৃত আরব পরিচ্ছদ।

কেউ কেউ কটিবন্ধে খঞ্জর ও তলোয়ার গুঁজে অশ্বারোহীর সাজে সজ্জিত হন। আর, শিশুরা মুখে কালো বা লাল রঙ দিয়ে অতিপ্রাকৃত সত্তা বা জ্বীনের সাজ নেয়। কেউ সাদা পালক ধরণ করে, কেউ গোলাপী ডানায় সাজিয়ে তোলে নিজেদের।

ঐতিহ্য অনুযায়ী, এই জ্বীনরা কারবালার যুদ্ধে অংশ নিয়ে হুসেইনকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিলো। হুসেইন এই বলে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন যে, যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যাওয়াই তার নিয়তি।

৫৬ বছর বয়সী আলী এবাদি বলেন, "আমি ১০ বছর ধরে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি।" তিনি "সিমার"-এর একজন ক্রীতদাসের ভূমিকায় অভিনয় করেন। সিমার লড়াইয়ের সময় হুসেইনকে হত্যা করেছিল।

হুসেইন ও তার পরিবারের প্রশংসা সম্বলিত সাদা অক্ষরে লেখা কালো পতাকা ও ব্যানারের নিচ দিয়ে যখন মিছিল এগিয়ে যাচ্ছিলো, তখন কালো পোশাক পরা শত শত পুরুষ ও চাদর পরিহিত নারীরা তা অবলোকন করেন।

দলটি পরে হুসেইনের হত্যার ঘটনাগুলো অভিনয় করে দেখান। হুসেইন, খলিফা হিসেবে ইসলামি বিশ্ব শাসনে ইয়াজিদের অধিকারকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

.বিশ্বের শিয়া মুসলমানরা হুসেইন-এর মৃত্যুকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে দেখে।

XS
SM
MD
LG