অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানায় একটানা বৃষ্টি, হড়পা বান, জলে ভেসে গেল গ্রাম, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা


দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানায় একটানা বৃষ্টি, হড়পা বান, জলে ভেসে গেল গ্রাম, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানায় একটানা বৃষ্টি, হড়পা বান, জলে ভেসে গেল গ্রাম, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় বিধ্বস্ত। এবার লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানা। গত সপ্তাহের শেষে দু'দিনের প্রবল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যটির জেলায় জেলায় জলমগ্ন বাড়ি-ঘর, রাটাঘাট। তার মধ্যেই নামছে হড়পা বান। সব মিলিয়ে শুধু শুক্রবার ২৮ জুলাই-এ ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছিল। দিনভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁদের দেহ উদ্ধার করেছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।

সংবাদ সূত্রের খবর, আচমকা হড়পা বান নেমে আসায় ভেসে যান একাধিক গ্রামের মানুষজন। শুধুমাত্র মুলুগা জেলাতেই আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছিল। এছাড়া মেদারাম, কোন্দাই, এবং মোরাঞ্চপল্লী এলাকায় ভেসে গেছেন আরও বেশ কয়েকজন। শুক্রবার সারাদিন তল্লাশি চালিয়ে ১১ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। শনিবার পর্যন্ত জানা গেছিল আরও তিনজন নিখোঁজ।

ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানা সরকার মৃতদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি পরিবার ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

সংবাদ সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টি এবং নদীবাঁধগুলি থেকে জল ছাড়ার কারণে বহু গ্রাম জলমগ্ন। বেশিরভাগ জায়গাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জলের উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকার কারণে সুরক্ষার জন্য বানভাসি এলাকাগুলিতে সরকারের তরফে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০০-রও বেশি মানুষ আটকে রয়েছেন বিভিন্ন গ্রামে। তাঁদের উদ্ধার করতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের পাশাপাশি বায়ুসেনাও কাজে লেগেছে।

বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে ওঠা নিম্নচাপের জেরে গভীর ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তের কারণেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রে। মৌসম ভবন জানিয়েছিল শনিবার, রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। গত বুধবার ২৬ জুলাই থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে মুলুগু, জয়শঙ্কর ভূপালপল্লি, ভাদরাদরি কোঠাগুডেম, করিমনগর, হনুমানকোণ্ডা, আদিলাবাদ, ওয়ারাঙ্গল এবং জনগাঁওয়ে বন্যা পরিস্থির সৃষ্টি হয়েছে।

XS
SM
MD
LG