অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীনের শীর্ষ কর্মকর্তার পাকিস্তান সফর, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের মাইলফলক


২০২৩ সালের ৩০ জুলাই তোলা এই ছবিটি পাকিস্তান তথ্য বিভাগ (পিআইডি) থেকে প্রকাশিত। এতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ (ডান থেকে দ্বিতীয়) চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফং-কে ইসলামাবাদে স্বাগত জানাচ্ছেন।
২০২৩ সালের ৩০ জুলাই তোলা এই ছবিটি পাকিস্তান তথ্য বিভাগ (পিআইডি) থেকে প্রকাশিত। এতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ (ডান থেকে দ্বিতীয়) চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লাইফং-কে ইসলামাবাদে স্বাগত জানাচ্ছেন।

চীনের গ্লোবাল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে অবকাঠামো উন্নয়ন সহযোগিতার ১০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সপ্তাহে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঊর্ধ্বতন একজন চীনা নেতা রবিবার পাকিস্তানে পৌঁছেছেন।

চীনের ভাইস প্রিমিয়ার এবং প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত হে লাইফং কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন। সরকার বিদেশী প্রতিনিধিদলকে “কঠোর নিরাপত্তা প্রদানের জন্য” সোমবার থেকে পাকিস্তানের রাজধানীতে দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, লাইফং-এর সফর দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য “গুরুত্ব প্রতিফলিত করে।” এটি উল্লেখ করেছে, লাইফং “সিপিইসির দশক উদযাপনের একটি অনুষ্ঠানে” প্রধান অতিথির পদ অলংকৃত করবেন এবং দেশের নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করবেন।

মন্ত্রক চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি-র কথা উল্লেখ করেছে। এটি ২০১৩ সালে বিআরআই-এর একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প হিসেবে চালু করা হয়েছিল।

উভয় দেশ বলেছে, সিপিইসি পাকিস্তানে সরাসরি চীন থেকে ২৫০০ কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ এনেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে, আরব সাগরে কৌশলগতভাবে অবস্থিত গভীর পানির পাকিস্তানি বন্দর গোয়াদরের উন্নয়ন এবং পরিবহন অবকাঠামো নির্মাণ করেছে।

সিপিইসি-র লক্ষ্য হলো স্থলবেষ্টিত পশ্চিম চীনকে গোয়াদর বন্দরের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রুততম সম্ভাব্য প্রবেশাধিকার দেয়া।

চীনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাকিস্তানের কাছে ১২৬ কোটি ডলার (সাড়ে ৩ হাজার কোটি রুপি)-র বেশি পায়। এর পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চীন পেমেন্ট এবং সিপিইসি ঋণ পিছিয়ে দিতে বা পুনর্গঠন করতে অনিচ্ছুক। সমস্ত চীনা ঋণ- সরকারি এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ উভয়ই- ইসলামাবাদের বৈদেশিক ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশ।

XS
SM
MD
LG