অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের হয়রানি রোধে সহায়ক হবে: আনিসুল হক


সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের হয়রানি রোধে সহায়ক হবে: আনিসুল হক
সাইবার নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের হয়রানি রোধে সহায়ক হবে: আনিসুল হক

বাংলাদেশের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের (সিএসএ) অপব্যবহার হবে না এবং এই আইন সাংবাদিকদের হয়রানি রোধে খুবই সহায়ক হবে।প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ফলে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে হয়রানি করা হবে না।” বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর বিসিসি মিলনায়তনে আয়োগিত সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, “প্রস্তাবিত আইন সাইবার অপরাধ দমনে খুবই সহায়ক হবে। এছাড়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষের মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিলো, যে উদ্বেগের কারণ হয়েছিলো, গণমাধ্যমে অবাধে খবর প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিক সমাজে যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছিলো, তা দূর হবে।”

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের শাস্তি; যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলো; প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে (সিএসএ) অনেকাংশে তা কমানো হয়েছে। কিছু অজামিন-অযোগ্য ধারা, জামিনযোগ্য করা হয়েছে। মানহানির অভিযোগ মোকাবেলায়, প্রস্তাবিত আইনে একমাত্র শাস্তি হবে জরিমানা। আগের আইনে ধারা ২১-এ ১০ বছরের জেল ছিলো, এখন তা কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে।”

আইনমন্ত্রী বলেন, “প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সবসময় ২৫ লাখ টাকা হবে। আদালত অপরাধের প্রকৃতি বিবেচনা করে একটি জরিমানা আরোপ করবে, এবং এটি আইনে বলা আছে।”

উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা মানহানির অভিযোগে কারাদণ্ডের মতো কিছু কঠোর বিধান বাতিল করে নতুন আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়

XS
SM
MD
LG