ভারতের বিশিষ্ট পরমাণু পদার্থবিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ প্রয়াত হলেন। শুক্রবার ১১ অগাস্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার এক হাসপাতালে মারা প্রয়াত হন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
‘সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স’-এর অধিকর্তার পদে ছিলেন প্রফেসর বিকাশ সিংহ। ‘ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার’-এর ‘হোমি ভাবা অধ্যাপক’ পদেও ছিলেন তিনি। পরমাণু গবেষণার পাশাপাশি বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবেই তিনি জনপ্রিয় ছিলেন দেশে-বিদেশে। ২০১০ সালে পেয়েছিলেন পদ্মভূষণ সম্মান।
১৯৪৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি রাজ পরিবারের জন্ম হয় বিকাশের। বিকাশ সিংহর বাবার নাম বিমলচন্দ্র সিংহ এবং দাদা অতীশ সিংহ। তাঁর দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
তিনি কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পরে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। দেশে ফিরে এসে যোগ দিয়েছিলেন ‘ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার’ (বার্ক)-এ। কলকাতায় ‘বার্ক’-এর ‘ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার’-এর প্রতিষ্ঠা এবং সেটিকে বিশ্বমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে এগিয়ে দেওয়ায় বিশেষ ভূমিকা ছিল তার। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে সিলেবাস কমিটির উপদেষ্টা হিসেবেও নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহের প্রয়াণে ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “মহান বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। বাংলার এক কৃতী সন্তান, এই প্রতিভাবান পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানী শুধুমাত্র জ্ঞানের জগতেই নয়, চলমান জনজীবনেও তার অবদানের মাধ্যমে আমাদের গর্বিত করেছেন। আমরা তাকে ২০২২ সালে আমাদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘বঙ্গবিভূষণ’ প্রদান করেছি, এবং মঞ্চে তার ব্যক্তিগত উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল। আমরা তাকে ‘রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার’ দিয়েও সম্মানিত করেছিলাম। তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, ছাত্র এবং ভক্তদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।”
