বাংলাদেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের ১৮তম বছর পূর্ণ হলো ১৭ অগাস্ট (বৃহস্পতিবার)। এই হামলায় ২ জন নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।
২০০৫ সালের এই দিনে ৬৩টি জেলার ৪৩৪টি স্থানে প্রায় ৫০০টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এই হামলা চালিয়েছিল।
বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার নতুন আহ্বান জানিয়ে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলো দেশব্যাপী এই বিস্ফোরণের বার্ষিকী পালন করছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ৯৪টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। বিস্ফোরণের মামলায় ২৭ জন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যৃদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া, ৩৩৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং মোট ৩৪৯ জন অভিযুক্তকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০০৫ সালের এই দিনে জেএমবি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ২০০৭ সালে জেএমবির শীর্ষ ৬ নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যাপক ধাক্কা খায়।
ঝালকাঠি জেলার দুই বিচারককে হত্যার দায়ে ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ শেখ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানি, থিঙ্কট্যাঙ্ক সদস্য আবদুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ এবং সালাহউদ্দিনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
