অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পেনশন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ অগাস্ট, ২০২৩।
গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পেনশন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ অগাস্ট, ২০২৩।

বাংলাদেশে বহুল প্রত্যাশিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিককে পেনশন সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রকল্পটি চালু করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পেনশন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এতে তিন জেলা—গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট ও রংপুরের অংশগ্রহণকারী ও সুবিধাভোগীরা যুক্ত ছিলের। এ ছাড়া প্রবাসী প্যাকেজের আওতায় সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস সংযুক্ত ছিল।

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য আজীবন পেনশন সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সর্বজনীন পেনশন প্রকল্পের অধীনে মোট ছয়টি পরিকল্পিত প্যাকেজের মধ্যে প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী নামে চারটি প্যাকেজ প্রাথমিকভাবে চালু করা হয়েছে।

প্রগতি প্যাকেজ বেসরকারি চাকরিজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করবে, অন্যদিকে সুরক্ষা স্ব-কর্মসংস্থান ব্যক্তিদের জন্য, নিম্নআয়ের লোকদের জন্য সমতা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাসী প্যাকেজ গঠন করা হয়েছে। আর বাকি দুটি প্যাকেজ পরে চালু করা হবে।

১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো নাগরিক ৬০ বছর বয়সে না পৌঁছানো পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধ করে অবসর জীবনে পেনশন সুবিধা পেতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

৫০ বছরেরও বেশি বয়সী একজন ব্যক্তি এই স্কিমে যোগ দিতে পারেন তবে সেই ব্যক্তিকে একটানা ১০ বছর ধরে কিস্তি দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

XS
SM
MD
LG