অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গ্রন্থাগারে বইয়ের শুদ্ধিকরণে জনতার সাহায্য চাইলো হংকং কর্তৃপক্ষ


ফাইল - হংকং-এর ওয়ান চাই এলাকায় ৩৩তম হংকং বইমেলায় এক বুথে বই দেখছেন অনেকে। সাথে দেখা যাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পোস্টার। ১৯ জুলাই, ২০২৩।
ফাইল - হংকং-এর ওয়ান চাই এলাকায় ৩৩তম হংকং বইমেলায় এক বুথে বই দেখছেন অনেকে। সাথে দেখা যাচ্ছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পোস্টার। ১৯ জুলাই, ২০২৩।

বিশ্লেষক ও কিছু বাসিন্দা বলেছেন, গণ-গ্রন্থাগারে থাকা যে বইগুলি ‘জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে’ সেগুলি সম্পর্কে জানাতে নাগরিকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে হংকং কর্তৃপক্ষ ; এই চিঠি বন্দর শহরে শিহরণ তুলেছে। কেউ কেউ উদ্বিগ্ন যে, চীনেও সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় ব্যবহৃত একই কৌশল অবলম্বন করছে কর্তৃপক্ষ। অন্যরা বলছেন, এই শহরের ইতিমধ্যে কলঙ্কিত ভাবমূর্তির আরও ক্ষতি করবে এই পদক্ষেপ। এই শহর আর মুক্ত নয়, এমন একটা ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে গেছে।

২০২১ সালে হংকং পাবলিক লাইব্রেরি (এইচকেপিএল) ২০২০ সালে বেইজিং কর্তৃক আরোপিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) সম্ভাব্য লঙ্ঘনের জন্য বই পর্যালোচনা করা শুরু করে শহরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য। প্রস্তাবিত তবে পরে যা প্রত্যাহার করা হয় সেই প্রত্যার্পণ বিলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে কয়েক সপ্তাহব্যাপী সহিংস বিক্ষোভে এই শহর কেঁপে ওঠে। এই বিল সন্দেহভাজনদের বিচারের জন্য চীনে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল।

এপ্রিল মাসে সরকার ঘোষণা করেছিল যে, গ্রন্থাগার ব্যবস্থা তাদের বিপুল সংগ্রহের এক প্রাথমিক পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছে। এই সংগ্রহে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি বই এবং অন্যান্য উপকরণ রয়েছে।

কতগুলি বই সরানো হয়েছিল তার কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি, তবে হংকংয়ের মিং পাও সংবাদপত্রের মতে, শত শত বই সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এই সংবাদপত্র শুদ্ধিকরণের দিকে নজর রাখছে।

জুলাই মাসে সরকার তাদের প্রচারকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে এমন বই সরিয়ে ফেলতে গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীদের সাহায্য করতে বলে। ইমেল, অনলাইন বা কাগজের ফর্মের মাধ্যমে ছাড়াও এই ধরনের প্রতিবেদনের জন্য নতুন চ্যানেল স্থাপনে সহায়তা করতে বলা হয়।

এই আইন বিচ্ছিন্নতাবাদ, বিদ্রোহ, সন্ত্রাসবাদ এবং বিদেশী শক্তির সাথে যোগসাজশের শাস্তি দেয়। এই শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মতো কঠিন।

সাংহাই ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ল-র সঙ্গে আগে যুক্ত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী চেন দাওয়িন। তিনি এখন বিদেশে বসবাস করেন। তাঁর কথায়, এই পদক্ষেপ দেখিয়ে দিচ্ছে হংকং কীভাবে চীনের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছে।

চেন বলেন, চীন "সম্প্রতি একটি গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী আইন পাস করেছে। এটি শিশুদের পিতামাতার বিষয়ে রিপোর্ট করতে উৎসাহিত করে; পথচারী, শিক্ষক, ছাত্র এবং স্বামী-স্ত্রীকে একে অপরের বিষয়ে রিপোর্ট করতে বলে; এবং যাত্রীদের ট্যাক্সি চালকদের বিষয়ে রিপোর্ট করতে বলে। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের দিনগুলিতে তারা ফিরে যাচ্ছে।"

XS
SM
MD
LG