বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির জন্য, বুধবার(২৩ আগস্ট) কার্যতালিকায় রাখার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সাড়ে আট বছর শুনানি না হওয়া রুলটি শুনানির জন্য রিটকারীরা আবেদন করেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার( ২২ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে, হাইকোর্টের নির্দেশে, রিটে উল্লেখিত তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় রুলের নোটিশ পাঠানো হয়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ বোর্ডে এবং একটি জাতীয় দৈনিকে প্রচার করা হয়।এ বিষয়ে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, গুলশানের যে ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে সেটি তারেক রহমানের সর্বশেষ ঠিকানা নয়। তিনি এখন লন্ডনে; তাই তার ঐ ঠিকানায় নোটিশ পাঠাতে হবে।
আদালত বলেছেন, আইন অনুযায়ী আবেদকারীরা নোটিশ পাঠিয়েছেন। আগামীকাল (২৩ আগস্ট) এই রুল শুনানির কার্যতালিকা থাকবে। এর আগে, সকালে এই শুনানিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে কয়েক মিনিটের বাকবিতণ্ডা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন; আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সানজিদা খানম ও নাসরিন সিদ্দিকী লিনা। বিপক্ষে ছিলেন; ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান (তৎকালীন জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান) তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ রুল জারি-সহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, একুশে টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও তারেক রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী আদেশে হাইকোর্ট তারেক রহমানের অবস্থান জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি, পুলিশ মহাপরিদর্শককে তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদ জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
পরে, ঠিকানা ভুলের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান বাদে রিট আবেদনের অন্য সকল বিবাদীদের বরাবর রুলের নোটিশ জারি হয়। সাড়ে আট বছর পর, শুনানি না হওয়া সেই রুল শুনানির জন্য গত ২ আগস্ট আবেদন করেন রিটের পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
