অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ট্রাইটন দ্বীপে চীনের দখলদারিত্বের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ান


ট্রাইটন দ্বীপ
ট্রাইটন দ্বীপ

ট্রাইটন দ্বীপের স্যাটেলাইট চিত্রগুলিতে একটি নতুন কাঠামো দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দক্ষিণ চীন সাগরে সামুদ্রিক দাবিকে সমর্থন করার জন্য এটি চীনের সামরিক সম্প্রসারণের একটি অংশ। এই ছবিগুলো যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে।

প্যারাসেলস দ্বীপপুঞ্জের অংশ ট্রাইটন দ্বীপ বিতর্কিত অঞ্চলের সর্বসাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়েছে।

চীন প্যারাসেলস এবং নিকটবর্তী স্প্রেটলি দ্বীপপুঞ্জকে তাদের নিজস্ব সামুদ্রিক অঞ্চল বলে দাবি করে। তারা এই দ্বীপ এলাকায় তাদের সামরিক স্থাপনা সম্প্রসারণ করছে।

ভিয়েতনাম ও তাইওয়ান যথাক্রমে প্যারাসেলস ও স্প্রেটলি দ্বীপপুঞ্জকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে। যুক্তরাষ্টকে সঙ্গে নিয়ে দেশ ২টি বেইজিংয়ের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা সম্প্রসারণের উদ্যোগের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি চীন ট্রাইটনে খুব দ্রুত একটি নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করেছে।

প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসি থেকে প্রাপ্ত স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে গত সপ্তাহে এপি এই স্থাপনাটিকে এয়ারস্ট্রিপ হিসেবে ঘোষণা করে।

দ্বীপটি প্রায় ৪,০০০ ফুট লম্বা ২,০০০ ফুট চওড়া, এবং কিছুদিন আগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ জনবসতিহীন ছিল।

ইউআরএসএ স্পেসের জ্যেষ্ঠ মেরিটাইম সলিউশন বিশেষজ্ঞ বিল কনরয়ের মতে, দ্বীপটিতে জলোচ্ছ্বাস চার ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠতে পারে।

টেলিফোন সাক্ষাতকারে কনরয় বলেন, "যে লম্বা জিনিসটাকে মানুষ রানওয়ে মনে করতো, সেটি আসলে অঞ্চলটিকে সমুদ্রের পানি থেকে সুরক্ষা দিয়ে শুষ্ক রাখার কাজে ব্যবহার করা হতো।" আমাদের ধারণা মতে, এই বাঁধের মাধ্যমে প্রায় ৭০ হাজার বর্গমিটার ভূখণ্ড সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে'"। তিনি আরও বলেন৷ দক্ষিণে আরও অবকাঠামো নির্মাণকাজ চলছে, যা হতে পারে অন্য একটি বাঁধ ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র ভয়েস অফ আমেরিকার কোরিয়ান সার্ভিসকে বলেছেন, তারা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবির বিরোধিতা করে বেইজিংয়ের প্রতি আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

চীনের সরকারি নাম পিপলস রিপাবলিক অব চায়না ব্যবহার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই মুখপাত্র বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র দ্ব্যর্থহীনভাবে পিআরসি'র অবৈধ সামুদ্রিক দাবি এবং এ ধরনের যেকোনো হস্তক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করে।“

চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ দাবি করে আসছে। চীন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম সহ প্রায় সমস্ত প্রতিবেশী রাষ্ট্র এই পথে চলাচল করে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, “নানহাই ঝুদাও এবং সংলগ্ন জলসীমার ওপর চীনের অনস্বীকার্য সার্বভৌমত্ব রয়েছে।“

ওয়াশিংটন থেকে লে নগুয়েন এবং তাইপে থেকে কেলি ট্যাং এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন।

XS
SM
MD
LG