অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অর্থনীতির বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ইতিবাচক: রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক


বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেছেন, “আগামী পঞ্চাশ বছরে কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনার এটাই সঠিক সময়।” তিনি বলেন, “অর্থনীতির বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ইতিবাচক।”

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে, কোরিয়া-বাংলাদেশ ইকোনোমিক কো-অপারেশন: মেজারিং ডেভেলপমেন্ট এক্সপেরিয়েন্স এন্ড এক্সপ্লোরিং অপরচুনিটিস শীর্ষক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত পার্ক এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে, শুরু থেকেই দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের পাশে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত পার্ক। তিনি বলেন, “১৯৭৯ সালে বাংলাদেশের দেশ গার্মেন্টস ও কোরীয় কোম্পানি দেউউ করপোরেশনের অংশীদারিত্ব, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বীজ বপন করে।”

রাষ্ট্রদূত পার্ক বলেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। এই যাত্রা একই সঙ্গে দুর্দান্ত সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে।” তিনি বলেন, “অর্থনীতির বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই ইতিবাচক।”

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া তার বর্তমান অবস্থান অর্জন করতে পারতো না। তিনি বলেন, “বন্ধুদের সহায়তায়, কোরিয়া মাত্র কয়েক দশকে তার অর্থনীতির উন্নয়ন করেছে। আমরা এখন অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে আমাদের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে, আমাদের ঋণ পরিশোধ করতে ইচ্ছুক।”

পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, “বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দেখেছি গত এক দশকে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
এ বছর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী। আর, দেশ দু’টির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত বছর ৩০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে।

XS
SM
MD
LG