অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বুরকিনা ফাসোয় জঙ্গি হামলায় ৫০ জনের বেশি যোদ্ধা নিহত


উয়াগাডুগুতে জনগণকে সজাগ ও সংগঠিত থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি ম্যুরাল দেখা যাচ্ছে। ( ১ মার্চ, ২০২৩)
উয়াগাডুগুতে জনগণকে সজাগ ও সংগঠিত থাকার আহ্বান জানিয়ে একটি ম্যুরাল দেখা যাচ্ছে। ( ১ মার্চ, ২০২৩)

বুরকিনা ফাসোর ইয়াতেঙ্গা প্রদেশে জিহাদি বিদ্রোহীরা ৩৬ জন স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা ও ১৭ জন সৈন্যকে হত্যা করেছে। এক বছর আগে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম ট্রাওর পূর্ববর্তী জান্তার কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার পর এই গণহত্যা সবচেয়ে খারাপ কৌশলগত একটি পরাজয়।

সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “চরম কাপুরুষোচিত এই কাজের শাস্তি দিতেই হবে। পলাতক অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।” ইতিমধ্যে কয়েক ডজন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলেও জানায় তারা।

২০১৫ সাল থেকে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী উত্তরাঞ্চলের মরুভূমিতে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এর কয়েকটি গোষ্ঠীর সঙ্গে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের সম্পর্ক রয়েছে। দরিদ্র পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিকে একটি স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্কের উপর নির্ভর করতে হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে ওয়াচডগ গ্রুপগুলি শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার অভিযোগ করেছে।

জিহাদি বিদ্রোহীরা দেশটির রাজধানী উয়াগাডুগুর কাছাকাছি যাওয়ার সময় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা এবং ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। এই সন্ত্রাসী শাসনের অধীনে বেসামরিক নাগরিকদের ভ্রমণ এবং গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও পরিষেবাগুলিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

সংঘাত বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের অর্ধেক মানুষ অরাজকতার মধ্যে বাস করে।

আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “এই সহিংসতা এবং উয়াগাডুগুকে ঘিরে উগ্রবাদী কার্যকলাপের ভৌগোলিক বিস্তার বুরকিনা ফাসোকে আগের চেয়ে অনেক বেশি পতনের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে।”

গত বছর দুটি সামরিক অভ্যুত্থানে শৃঙ্খলা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সংকট অব্যাহত রয়েছে। আফ্রিকা সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রথম অভ্যুত্থানের পর থেকে উগ্রবাদী হত্যাকাণ্ড প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।

XS
SM
MD
LG