অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এএসপি আনিসুল করিম হত্যা: ১৫ জনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু


বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র সহকারী সুপারিনটেন্ডেন্ট (এএসপি) আনিসুল করিম
বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র সহকারী সুপারিনটেন্ডেন্ট (এএসপি) আনিসুল করিম

বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র সহকারী সুপারিনটেন্ডেন্ট (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায়, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মামলায় অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন; মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক; অপর ১৩ জন জামিনে রয়েছেন। অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার জানান, গত ২৪ জুলাই অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ করেন আইনজীবীরা। গত বছর ৩০ নভেম্বর, তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পরিদর্শক এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

উল্লেখ্য, আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর, হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়। এর পর, তার বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।

XS
SM
MD
LG