অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

৯/১১ হামলার বার্ষিকীতে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আফগানিস্তানে আল-কায়েদা মৃতপ্রায়


আর্মি টাইমস থেকে প্রকাশিত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভারী বোমা হামলার পর আফগানিস্তানের সিরকাঙ্কেলের পাহাড়ে তালিবান এবং আল-কায়েদার স্থাপনা থেকে ধোঁয়া উড়ছে। ৫ মার্চ, ২০০২। ফাইল ছবি।
আর্মি টাইমস থেকে প্রকাশিত এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভারী বোমা হামলার পর আফগানিস্তানের সিরকাঙ্কেলের পাহাড়ে তালিবান এবং আল-কায়েদার স্থাপনা থেকে ধোঁয়া উড়ছে। ৫ মার্চ, ২০০২। ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বসাম্প্রতিক গোয়েন্দা মূল্যায়ন অনুসারে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, পেন্টাগন এবং পেনসিলভানিয়ায় আল-কায়েদা হামলার দুই দশকের বেশি সময় পরে আমেরিকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঐ গোষ্ঠীটিকে কার্যত অক্ষম করে তুলেছে।

মার্চ মাসে ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কাউন্টার টেরোরিজম কো-অর্ডিনেটর বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ সেপ্টেম্বরের মতো আরেকটি আক্রমণ “প্রায় অকল্পনীয়” হবে।

সদস্য রাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘের জুনের একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, আফগানিস্তান আবার আল-কায়েদার আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে। এটি মাত্র কয়েক ডজন থেকে প্রায় ৪০০ জন যোদ্ধা ছাড়াও ৬০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যন্ত নিজেদের বিস্তৃত করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও সতর্ক করা হয়েছে, আল-কায়েদা অন্তত পাঁচটি প্রদেশে প্রশিক্ষণ শিবির এবং আরও চারটিতে সেফ হাউস স্থাপন করেছে।

এমনকি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা যদি বর্তমানে সেই ধরনের দর্শনীয় আক্রমণ করতে সক্ষম নাও হতে পারে, কিছু বিশ্লেষক আফগানিস্তানে আল-কায়েদার মৃত্যুঘণ্টা বাজানোর বিষয়ে সন্দিহান।

যুক্তরাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ডেভিড পেট্রাউস দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর কমান্ডার এবং তারপর সিআইএ-র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একইভাবে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, আল-কায়েদাকে অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়।

ভয়েস অফ আমেরিকার আফগান বিভাগ এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।

XS
SM
MD
LG