অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্র বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে ৫ ইরানীকে মুক্তি দেবে


ফাইল ছবি- পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন। (১৫ আগস্ট, ২০২৩)
ফাইল ছবি- পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন। (১৫ আগস্ট, ২০২৩)

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে আসন্ন বন্দী বিনিময়ের নতুন বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে, চুক্তির অংশ হিসাবে তারা ৫ জন ইরানিকে মুক্তি দেবে । যাদের নাম ইরান সরকার ইতিমধ্যে ভয়েস অফ আমেরিকাকে নিশ্চিত করেছে।

সোমবার রাতে ভয়েস অফ আমেরিকাকে পাঠানো পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে পাঁচ ইরানিকে মুক্তি দেওয়ার চুক্তির কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর কয়েক ঘণ্টা আগে পশ্চিমা সংবাদ সংস্থাগুলো জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে আসন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান এরই মধ্যে গত ১০ আগস্ট নিশ্চিত করেছে, বন্দী চুক্তির আওতায় তেহরান ৫ জন আমেরিকান নাগরিককে মুক্তি দেবে, যাদেরকে তেহরান অন্যায়ভাবে আটক করেছে বলে ওয়াশিংটন দাবি করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের এক মুখপাত্র ভয়েস অফ আমেরিকাকে লিখিতভাবে জানান, "আমরা আগেই জানিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কাতারে কিছু আর্থিক সংগঠনের বিধিনিষেধের আওতায় থাকা অ্যাকাউন্টে তহবিল স্থানান্তরের অনুমোদন দিতে এবং ইরানে আটক যুক্তরাষ্ট্রের ৫ নাগরিকের মুক্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রে আটক ৫ ইরানী নাগরিকের মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে।"

ইরানের ঘোষিত পাঁচ ইরানি নাগরিকের মধ্যে রয়েছেন কাভেহ লোটফোলাহ আফ্রাসিয়াবি, মেহেরদাদ আনসারি, আমিন হাসানজাদেহ, রেজা সারহাংপুর কাফরানি এবং কামবিজ আত্তার কাশানি। গত ২৪ আগস্ট ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বিনিময়ে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যে ১১ জন ইরানিকে প্রথম চিহ্নিত করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে এই পাঁচজনই ছিলেন।

ইরানের চিহ্নিত ৫ ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হবে কি না তা নিশ্চিত করতে জিজ্ঞাসা করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তাদের সবাইকে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন বা তেহরানকে অবৈধ সহায়তা প্রদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

XS
SM
MD
LG