হাবিবুল আউয়াল জানান, তারা মনিটরিং ও মিডিয়া নজরদারির মাধ্যমে নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন।আগামী নির্বাচন নিয়ে যাতে আস্থার সংকট না হয়, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সে লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা, যারা নির্বাচন পরিচালনা করবো; নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে আপনারা (এখানে যারা উপস্থিত আছেন); তাদের প্রত্যেককে আরপিও অনুযায়ী সঠিকভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।”
আগামী নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ বা বিতর্ক মাত্রাতিরিক্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি । বলেন, “২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের চাপ (দায়) আমাদের ওপর পড়েছে। তাই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন থেকে আমরা কঠোরভাবে মনিটরিং করবো। আর, নির্বাচন নিয়ে অতীতের মতো বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক হতে পারে, তা আপনাদের মনে রাখতে হবে।”
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, “এটা অতীতেও হয়েছে। আমরা যদি ৫০, ৬০ ও ৭০ বছরের ইতিহাসের দিকে তাকাই, তবে দেখা যাবে, ব্রিটিশ আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কিছু ক্ষেত্রে এটি ঘটেছিল... তবে এর মাত্রা কিছুটা কম ছিলো।”
হাবিবুল আউয়াল বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য' বলে একটি শব্দ আছে; যা সব দেশের আইনে রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বলছে, নির্বাচন অবশ্যই বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে। এটি কেবল তখনই বিশ্বাসযোগ্য হবে; যখন আমরা আমাদের পারফরম্যান্সের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারবো।”
প্রচার প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে অপপ্রচার হলে কঠোরভাবে দমন করবে ইসি।” তিনি বলেন, “এখন গণমাধ্যমে অনেক অপপ্রচার চালানো হয়; যাকে ভুল তথ্য বা অপতথ্য বলা হয়। নির্বাচনে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেজন্য আমরা কঠোরভাবে এসব প্রতিহত করবো।”