অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাবে না—সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল


বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন মাথা ঘামাবে না। তবে প্রক্রিয়াটি আইনগতভাবে সঠিক কি না তা নিয়ে সতর্ক থাকবে।

এ কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, “যদি এক শতাংশ ভোট দেওয়া হয় এবং ৯৯ শতাংশ ভোট না দেওয়া হয়, তবে তা আইনত বৈধ। সে ক্ষেত্রে বৈধতার বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে। বৈধতার প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে বৈধতার প্রশ্ন উঠবে না”।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘নিরবিচ্ছিন্ন ভোটাধিকার: প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তারা বৈধতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হবেন না। “রাজনৈতিক দলগুলো এটা নিয়ে (নির্বাচনের বৈধতা) লড়াই করবে। নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে লড়াই করবে না। আমরা দেখব ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয় কি না”।

নির্বাচন কার্যকরভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করা ইসির দায়িত্ব উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অর্থ নিয়ে তিনি কিছুটা সন্দিহান।

তিনি বলেন, “অংশগ্রহণমূলক মানে যেমন আমি বুঝতে পারি, যদি বিপুলসংখ্যক ভোটার আসে এবং ভোট দেয়। কে আসে বা না আসে তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। যদি প্রকৃত ভোটার ৭০ শতাংশ হয় এবং তারপরে এটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়, তবে আমাদের কেবল সামান্য রেফারির ভূমিকা থাকবে”।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, কাউকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব ইসির নয়। “কাউকে আনার দায়িত্ব আমাদের নয়। তারপরও আমরাও আমাদের নৈতিক অবস্থান থেকে বহুবার (বিএনপি ও অন্য দলকে) আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা এর বেশি আর কী করতে পারি?”

নির্বাচনের আগে পোলিং এজেন্টদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় তাদের গ্রেপ্তার না করতে ইসি সরকারকে বারবার অনুরোধ করবে।

তিনি বলেন, “আমরা বারবার সরকারকে বলব, তাদের গ্রেপ্তার করতে হলে নির্বাচনের ছয় মাস আগে করুন, আর তা না হলে নির্বাচনের পরে করতে হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা উচিত নয়”।

কর্মশালায় সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ ও কবিতা খানম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও এস এম শামীম রেজা, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান ও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার, বর্তমান ও সাবেক ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

XS
SM
MD
LG