অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইসরাইল ছাড়লেন না ভারতীয় নার্স


যুদ্ধবিধ্বস্ত ইসরাইল ছাড়লেন না ভারতীয় নার্স
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইসরাইল ছাড়লেন না ভারতীয় নার্স

"কয়েক ঘণ্টা পর পর সাইরেন বেজে উঠছে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটতে হচ্ছে আবাসনের বেসমেন্টের বাঙ্কারে। রুদ্ধশ্বাস অবস্থার মধ্যে কাটাতে হচ্ছে কয়েক ঘণ্টা। সাইরেন থামলে ঘরে ফেরা," গত শনিবার ৭ অক্টোবর হামাস-এর হামলার পর ইসরাইল-এর রাজধানী তেল আভিবের জনজীবন এখন এমনই, সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তেল আভিবের একটি হাস্পাতালের নার্স প্রমীলা প্রভূ।

বছর ৪১-এর প্রমীলা থাকেন রাজধানীর উত্তরভাগে, যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সতর্কতার মানতে হচ্ছে চূড়ান্ত। হামাস-এর হামলার সামান্যতম আভাস মেলা মাত্র সতর্কতা সাইরেন বেজে উঠছে।

প্রমীলা ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকের উদুপির বাসিন্দা। নার্সের চাকরি নিয়ে ছয় বছর আগে দেশ ছেড়ে ইসরাইল-এ যান। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকছিলেন। তার বোনও নার্স। তাকেও তেল আভিবে নিয়ে যান প্রমীলা।

তিনি জানাচ্ছেন, রাজধানী তেল আভিব অনেক সুরক্ষিত। কিন্তু রকেট হামলার অভিজ্ঞতা এখানে নতুন নয়। তাই রাস্তার ধারে, অফিস-কাছারিতে এবং আবাসনে বাঙ্কার আছে। সাইরেন বাজা মাত্র পথচলতি মানুষ বাঙ্কারে আশ্রয় নিচ্ছেন।

পথে লোকজন অবশ্য হাতেগোনা। দোকান-বাজার প্রায় সবই বন্ধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনে মানুষ ঘরে ঢুকে পড়েছে। প্রশাসন বলেছে, বের না হতে। কিন্তু ঘন ঘন সাইরেন বেজে ওঠায় থিতু হওয়ার সুযোগ নেই। জলের বোতল, শুকনো খাবার, মোবাইল, টর্চ নিয়ে ছুটতে হচ্ছে বাঙ্কারে। সাইরেন বাজার পর কালক্ষেপ না করে বাঙ্কারে ঢুকে পড়তে বলা হয়েছে।

শনিবার সংঘর্ষ শুরুর পর প্রমীলা পরিবারের বাকিদের দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তবে থেকে গিয়েছেন দুই বোন। প্রমীলার কথায়, "আমরা ভারতে জন্মেছি। কিন্তু ইসরাইল আমাদের বাঁচার ব্যবস্থা করেছে। এ দেশে চাকরি করি। তাই যুদ্ধের বিপদের সময় এ দেশ ছেড়ে যাব না। যুদ্ধ যেদিকেই গড়াক, নার্স হিসাবে কর্তব্য পালন করব আমরা। তাই দুই বোন থেকে গিয়েছি।"

প্রমীলার ১৩ বছরের ছেলে ও ৯ বছরের মেয়েকে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। বলছেন, "ওদের ছাড়া দিন কাটানো খুবই কঠিন। ছয় বছর আগে ওদের কোলে নিয়ে এদেশে এসেছিলাম। ভালই কাটছিল দিন। হঠাৎ ছন্দপতন।"

XS
SM
MD
LG