ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে ক্রসফায়ারে পড়ে কমপক্ষে এক ডজন সাংবাদিক নিহত এবং কয়েকজন আহত বা হয়রানির শিকার হয়।
অন্য অনেকের মধ্যে রয়টার্সের ভিডিও সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লাহ শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তের কাছে লাইভ রিপোর্ট করার সময় নিহত হন।
একই হামলায় রয়টার্স, আল জাজিরা ও এএফপির দুজন করে সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাস জঙ্গিরা হামলা চালানোর পর থেকে এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের চার হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানিয়েছে, আবদুল্লাহসহ ১২ জন সাংবাদিক হামলা ও পাল্টা আক্রমণের খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিক ছিলেন।
সিপিজে এখন পর্যন্ত ১০ জন ফিলিস্তিনি, একজন ইসরাইলি এবং একজন লেবাননের সাংবাদিকের তথ্য নথিভুক্ত করেছে। নিউইয়র্কভিত্তিক সংস্থাটি জানিয়েছে, আরও অন্তত দুজন সাংবাদিক নিখোঁজ রয়েছেন।
ইসরাইলে জাতিসংঘের দূত গিলাদ এরদান শুক্রবার বলেন, “ইসরাইল কখনোই কোনো সাংবাদিককে আঘাত করতে বা হত্যা করতে বা গুলি করতে চাইবে না। কিন্তু যুদ্ধকালীন সময় এটি ঘটে যেতেই পারে।”
রয়টার্স এবং এএফপি উভয়ই এই ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। কাতারের সম্প্রচারমাধ্যম আল জাজিরা বলেছে যে তারা "ইসরায়েলকে আইনী ও নৈতিকভাবে দায়ী" বলে মনে করে।
ব্রডকাস্টারটি ২০২২ সালে পশ্চিম তীরে তাদের সংবাদদাতা শিরিন আবু আকলেহকে হত্যার কথা উল্লেখ করে। তিনি দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। গণমাধ্যম ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর তদন্তে দেখা গেছে, ইসরাইলি স্নাইপারের আঘাতে তিনি নিহত হন। ইসরাইল পরে আমেরিকান-ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে গুলি করার জন্য ক্ষমা চায়। তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সমর্থকরা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য হোয়াইট হাউসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অন্য একটি ঘটনায় বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইলে দায়িত্ব পালনের সময় তাদের কয়েকজন সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছেন।
শুক্রবারের ভয়াবহ হামলার পর জাতিসংঘের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের সুরক্ষা এবং তাদের কাজ করার অনুমতি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
এই প্রতিবেদনে কিছু তথ্য রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।