আফগানিস্তানে ইসলামি শাসন ব্যবস্থার ক্রমাগত বৈশ্বিক সমালোচনাকে নাকচ করছে তালিবান। তাদের দাবি, সাধারণ ক্ষমাসহ তাদের শীর্ষ নেতার নির্দেশ জাতীয় সমন্বয়কে তুলে ধরেছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশকে স্থিতিশীলতার পথে নিয়ে এসেছে।
তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৪০ মিনিটের একটি প্রচারমূলক ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি নির্দেশ প্রদর্শন করেন। সেই সঙ্গে , দুই বছরের বেশি সময় ধরে তাদের পুরুষশাসিত সরকারের “ভাল” ফলাফলগুলি তুলে ধরেন। প্রসঙ্গত, কেবলমাত্র পুরুষ নিয়ন্ত্রিত এই সরকার ইসলামিক আমিরাত নামে পরিচিত।
তবে, ভিডিওটিতে তালিবান শীর্ষ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা কর্তৃক জারি করা অন্য কয়েকটি নির্দেশ নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। এই নির্দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির পর আফগান মেয়েদের শিক্ষার উপর অনির্দিষ্টকালীন নিষেধাজ্ঞা এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য সহায়ক সংগঠনসহ বাকি কর্মক্ষেত্র থেকে অধিকাংশ নারীকে দূরে রাখা।
মুজাহিদ এক্স (সাবেক ট্যুইটার)-এ এই ভিডিওর সঙ্গে লেখেন, “সাধারণ ক্ষমা আফগানদের নির্দেশ করেছে।” ২০২১ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছিল তৎকালীন বিদ্রোহী দল। তারপর প্রথম নির্দেশ জারি করেন তালিবান প্রধান হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। সেই প্রসঙ্গও টেনে আনেন মুজাহিদ।
প্রায় দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনী আফগানিস্তানে ছিল। সেই সময় তাদের হয়ে কাজ করা আফগান সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সদস্য, রাজনীতিক ও ব্যক্তিদের সাধারণভাবে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে।
এই তথ্যচিত্রে মুজাহিদ বলেন, দেশজুড়ে “কার্যকরী ও ঐকান্তিকভাবে” সাধারণ ক্ষমার নির্দেশ বলবৎ করেছে তালিবান কর্তৃপক্ষ। তিনি আরও বলেন, “কয়েকটি ক্ষেত্রে” এই নির্দেশ লঙ্ঘনের জন্য দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং জেলে পাঠানো হয়েছে।