ইউক্রেনের যুদ্ধে আদেশ অনুসরণ করতে অস্বীকার করা সেনাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস একথা জানিয়েছে। এই পদক্ষেপকে, রুশ সেনাদের দুর্বল মনোবলের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে, মন্তব্যের জন্য ইমেইলে অনুরোধ করা হলে, ওয়াশিংটনে অবস্থিত রুশ দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জবাব দেয়নি।
দোনেৎস্ক যুদ্ধ-রেখায় অবস্থিত শহর আভদিভকার নিয়ন্ত্রণের জন্য, আক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ইউক্রেনীয় ও রুশ সেনারা লড়াই করছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, সাম্প্রতিক রুশ বোমা বর্ষণের ফলে শহরটি কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে, রাশিয়ার সৈন্যরা শহরের কাছাকাছি ইউক্রেনের স্থাপনাগুলোতে আক্রমণ করতে অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র একথা জানান। রাশিয়ার কিছু ইউনিটে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
কার্বি বলেন, “রাশিয়া স্বল্প-প্রশিক্ষিত, স্বল্প সরঞ্জাম সজ্জিত এবং যুদ্ধের জন্য অপ্রস্তুত বাহিনী মোতায়েন করেছে; যেমন টি তারা করেছিলো তাদের গত বছরের ব্যর্থ শীতকালীন অভিযানের সময়। কারবি আরো বলেন, মনে হচ্ছে রাশিয়া “মানব তরঙ্গ কৌশল” অবলম্বন করছে।
কার্বি আরো বলেন, “ তাদের উপযুক্ত সরঞ্জাম নেই, নেতৃত্ব নেই, সম্পদের সংস্থান নেই, সমর্থন নেই। তাই এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, রুশ বাহিনীর মনোবল দৃর্বল হয়ে পড়েছে।”
এদিকে, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত ১৫ কোটি ডলার থোক সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্যাকেজে থাকবে, গোলন্দাজ (আর্টিলারি) ও ছোট অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র।
রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওয়াশিংটন কিয়েভকে ৪ হাজার ৩৯০ কোটি ডলার নিরাপত্তা সহায়তা প্রদান করেছে। এর অর্থ হলো, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সর্ববৃহৎ নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানকারী দেশ। তবে রিপাকলিকানদের ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার কারণে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার বিষয়টি ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারে।
ইউক্রেন বৃহস্পতিবার বলেছে, শীত ঘনিয়ে আসার এই সময়ে, তাদের কৃষ্ণ সাগরে শস্য করিডর চালু আছে। এর বিপরীতে সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, করিডরটি বন্ধ রয়েছে