অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশের গর্ভবতী নারীদের পুষ্টির উন্নতি এবং শিশুদের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ২১ কোটি ডলার অনুমোদন


বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশ এনহ্যান্সিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড বেনিফিটস ফর আর্লি ইয়ার্স (বিইআইবিইই) প্রকল্পের জন্য ২১ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পর্ষদ।

বুধবার (১ নভেম্বর) বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে গর্ভবতী নারীদের পুষ্টির উন্নতির পাশাপাশি কাউন্সেলিং পরিষেবা দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রায় ১৭ লাখ গর্ভবতী নারী সরাসরি উপকৃত হবেন। এ ছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারে ৪ বছরের কম বয়সী শিশু রয়েছে, সেসব পরিবারের মায়েরাও এ সুবিধা পাবেন।

বাংলাদেশ-ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের সন্তান প্রসবের আগে এবং শিশুদের জন্মের প্রথম এক হাজার দিনে পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করা এবং শৈশবজুড়ে যত্ন নেওয়া, শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ও সুস্বাস্থ্যের জন্য সহায়তা করা হবে। এর মাধ্যমে প্রত্যেক শিশু আরও কর্মক্ষম হতে এবং তারা বড় হওয়ার পরে বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে। প্রকল্পটি দরিদ্র মায়েদের সন্তানদের জন্য সময়মতো এবং উপযুক্ত যত্ন সম্পর্কে অবহিত করতে এবং তাদের শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতির জন্য সহায়তা করবে।

তিনি আরও বলেন, মানব উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অর্জন সত্ত্বেও শিশুদের মধ্যে পুষ্টি ঘাটতি এবং দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে একটি চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। কোভিড ও লকডাউনের সময় এটি আরও বেড়েছে।

প্রকল্পটি সরকারের বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, মা ও শিশু বেনিফিট প্রোগ্রাম (এমসিবিপি) সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণে সহায়তা করে প্রারম্ভিক শৈশব উন্নয়নে অবদান রাখবে।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, দারিদ্র্যসহ বিভিন্ন কারণে শিশুদের সর্বোত্তম বিকাশ বিপন্ন হয়ে পড়ে। প্রকল্পটির মাধ্যমে গর্ভবতী নারীদের জন্য সঠিক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিশুদের সহায়তা করা হবে। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বাড়াতে সাহায্য করবে।

প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে ঋণের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। অনুমোদিত এই ঋণ ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।

XS
SM
MD
LG