বাংলাদেশের নওগাঁয়, কামাল আহমেদ (৬০) নামের এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ১০টার দিকে নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের তালপুকুর মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল আহমেদ, নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রজাকপুর মহল্লার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
বিএনপির নওগাঁ পৌরসভা শাখার সদস্য সচিব, প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, “নিহত কামাল আহমেদ নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়া, তিনি নওগাঁ নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন।”
পুলিশ এবং একাধিক স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টার পর কামাল আহমেদ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক দিযে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে নওগাঁ শহরের রজাকপুর মহল্লার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
ইজিবাইকটি নওগাঁ-সান্তাহার সড়কের ইয়াদ আলীর মোড় তালপুকুর এলাকায় পৌঁছালে হেলমেট ও মুখোশ পরিহিত ৩টি মোটরসাইকেলে ৬-৭ জনের একটি দল ইজিবাইকের গতিরোধ করে এবং ইজিবাইক থেকে কামাল আহমেদকে নামিয়ে লোহার রড ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
কামাল আহমেদের ভগ্নিপতি নাসির উদ্দিন বলেন, “আমার শ্যালককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।” তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, “ কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিনি জানান, “নিহত কামাল আহমেদের ছেলে রাশেদুল ইসলাম নবাব বাদী হয়ে রাতেই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।”
