অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশ নির্বাচন: বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে—আশা ইইউর


ইইউ আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে। ২৯ নভেম্বর, ২০২৩।
ইইউ আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে। ২৯ নভেম্বর, ২০২৩।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, “আমরা গণতান্ত্রিক, বিশ্বাসযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন দেখতে পাব বলে আশা করছি।”

বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

চার্লস হোয়াইটলি এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ঢাকাভিত্তিক সাতটি ইইউ সদস্য রাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা প্রতিনিধিদলে ছিলেন। বিকেল ৩টায় এই বৈঠক শুরু হয়।

চার্লস হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাদের ভালো, খোলামেলা ও ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, “নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আমাদের অনেক বিস্তৃত পরিসর রয়েছে।”

পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য একটি নির্বাচন নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, “আমরা তাদের (ইইউ প্রতিনিধিদল) স্পষ্টভাবে বলেছি, আমরা আমাদের সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য হয়।”

ইসি ইতিমধ্যে ৭ জানুয়ারির সংসদীয় ভোটের প্রস্তুতিতে অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে বাধ্য। এ বিষয়ে তারা তাদের স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমি মনে করি তারা আমাদের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পেরেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে যদি কোনো বিরোধ ও বিভাজন দেখা দেয়, তাহলে আমরা কোনোভাবেই তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।”

ইইউ প্রতিনিধিদলে ছিলেন–বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি অ্যাসিস বেনিটেজ সালাস, ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার, ফরাসি দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন গিলাউম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়ান জানোস্কি এবং ইইউর ডেপুটি হেড অব মিশন ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্টিয়ান রিগার-ব্রাউন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও তার মিত্ররা নির্বাচনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কারচুপি করবে।

তারা সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচন তদারকির জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানালেও আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

XS
SM
MD
LG