অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হাস ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মোমেনের আলোচনা


ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। ৩০ নভেম্বর, ২০২৩।
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। ৩০ নভেম্বর, ২০২৩।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের পর ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস জানায়, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত হাস ও পররাষ্ট্রসচিব মোমেন একটি রুটিন বৈঠক করেছেন। বেলা ১১টায় বৈঠক শুরু হয়ে ৩০ মিনিট চলে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানও উপস্থিত ছিলেন।

পিটার হাস ও মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকস্থলের বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।

ছুটি কাটিয়ে সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন পিটার হাস।

এদিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বলেছে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম অন অ্যাডভান্সিং ওয়ার্কার এমপাওয়ারমেন্ট, রাইটস অ্যান্ড হাই লেবার স্ট্যান্ডার্ডস গ্লোবালি শিরোনামের স্মারকলিপি নিয়ে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে।

সম্প্রতি চালু হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দূতাবাস এক চিঠিতে জানিয়েছে, “স্মারকলিপিতে শ্রম অধিকার সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার পেছনে রাজনীতি রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন উপায়ে রাজনৈতিক অভিপ্রায়কে ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের স্মারকলিপিটি ১৬ নভেম্বর জারি করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যারা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতাদের, শ্রম অধিকার রক্ষাকারী ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে হুমকি দেয়, ভয় দেখায় এবং হামলা করে তাদের জবাবদিহি করা হবে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা ও ভিসা বিধিনিষেধের মতো পদক্ষেপগুলো কার্যকর করতে তারা কাজ করবে।

ইউএনবির দেখা ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের চিঠিতে বলা হয়েছে ‘স্মারকলিপিটি’ বাংলাদেশের জন্য একটি সংকেত। কারণ শ্রম সমস্যার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র এতে বর্ণিত যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। “স্মারকলিপিটি বাংলাদেশের পোশাক খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা উচিত।”

XS
SM
MD
LG