অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রেমিট্যান্স: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী নভেম্বরে এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার


নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার। প্রতীকী ছবি।
নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার। প্রতীকী ছবি।

চলমান বছরের নভেম্বরে, ১৯৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ; যা আগের মাস অক্টোবরের তুলনায়, ৪ কোটি ডলার কম। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, নভেম্বরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ১৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক পেয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ ডলার; আর, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছে ১৭২ কোটি ডলার। এছাড়া, বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছে ৫৯ লাখ ২০ হাজার ডলার।

অক্টোবর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, “নভেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমেছে। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ উদ্যোগের কারণে প্রবাহের সামগ্রিক প্রবণতা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “ব্যাংকগুলোকে, তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক; যা আইনি চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।”

উল্লেখ্য, প্রবাসী আয়ের ওপর সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে, ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। কার্যত প্রেরকরা ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর সেলিম রায়হান বলেন, “ দীর্ঘমেয়াদে, রেমিট্যান্স প্রণোদনার সুবিধা কাজে আসবে না।” তিনি আরো বলেন, “রেমিট্যান্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখনো প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে এবং তা যেকোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”

“ব্যাংক যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তার চেয়ে বেশি দেবে। তাই, যতদিন হুন্ডির প্রচলন থাকবে, ততদিন আইনি মাধ্যমে প্রত্যাশিত রেমিট্যান্স আসবে না;” বলেন সেলিম রায়হান।

XS
SM
MD
LG