বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা সমুন্নত রাখতে, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে; কোনো পক্ষের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ থেকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষার পাশাপাশি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “আইন, বিধি ও আচরণবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এটি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কোনো প্রান্তের কোনো ধরনের প্রভাব বা অনুমান, নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।”
ইসি বলেছে, “জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে, নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় জনগণের সাথে যৌথসভা করে সবাইকে ভোটে উৎসাহিত করতে হবে।” এ বিষয়ে মাঠ প্রশাসনকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে, এর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে, এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি’র মোবাইল টিমের মাধ্যমে নিবিড় টহল দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং যেকোনো ধরনের অশুভ কর্মকাণ্ড রোধে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার জন্য, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ দিতে বলেছে কমিশন।
ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে জনগণকে জানাতে ব্যাপক প্রচার চালাতে বলেছে কমিশন। এছাড়া, রিটার্নিং অফিসারের নিজ জেলা ও মহানগর এলাকায় বিভিন্ন দপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে বলা হয়েছে।