গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণে প্রায় ১৮ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে আগ্রাসন অব্যাহত রাখতে হবে।
শনিবার বিবিসিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেক্ট বলেন, “বেসামরিক ব্যক্তিদের মৃত্যু ও দুর্ভোগ বেদনাদায়ক, কিন্তু আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই।”
ইসরাইল শনিবার বলছে, তারা দক্ষিণ গাজা ভূখণ্ডে তাদের সামরিক অভিযানের সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছে।
শনিবার দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসে তীব্র লড়াই চলে, যা রবিবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
যুদ্ধ এড়াতে ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণ আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন দক্ষিণেও যুদ্ধ চলছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবির বিপক্ষে ভেটো দেওয়ায় শনিবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শনিবার নিরাপত্তা কাউন্সিলের সংস্কার করার আহ্বান জানান। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির স্বপক্ষে অন্যান্য দেশের বিপুল সমর্থন থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দিয়ে এই প্রস্তাব নাকচের ক্ষমতার প্রতি নিন্দা জানান।
ইস্তাম্বুলে এক মানবাধিকার সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের যুদ্ধবিরতির দাবি শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে নাকচ করা হল। এর নাম কি ন্যায়বিচার?”
যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি, এতে যুক্তরাষ্ট্রের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস পুনর্গঠনের সুযোগ পাবে এবং নবোদ্যমে হামলা শুরু করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষিত রাখতে ও গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের পরিচালিত হামলার সময় জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির বিনিময়ে হামলায় ছোট ছোট বিরতি দেওয়ার বিকল্প প্রস্তাবকে সমর্থন করছে ওয়াশিংটন।