অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গাজায় নতুন করে ইসরাইলি বিমান হামলা


ইসরাইল-গাজা সীমান্তে ইসরাইলের একটি ট্যাংক দেখা যাচ্ছে। ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩।
ইসরাইল-গাজা সীমান্তে ইসরাইলের একটি ট্যাংক দেখা যাচ্ছে। ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩।

ইসরাইলি বাহিনী বুধবার নতুন করে গাজা ভূখণ্ডে বিমান হামলা চালিয়েছে। স্থলযুদ্ধ আরও বাড়ানোর বিষয়ে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মন্তব্যের একদিন পরই এই ঘটনায় বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার গাজা সিটিতে ইসরাইলি স্থল অভিযান এবং বিমান হামলা চালানো হয়। খান ইউনিসের পর এবার এ সপ্তাহে গাজার মধ্যাঞ্চলে প্রবেশের ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা। একাধিক শরণার্থী শিবিরও রয়েছে সেসব এলাকায়।

গাজার বেশিরভাগ জনগণ যুদ্ধের কারণে তাদের বাড়িঘর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। ইসরাইলের আক্রমণের বিষয়ে সতর্কবার্তার পর বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয়কন্দ্রগুলোতে ভীড় করছে। কেন্দ্রগুলো আগে থেকেই মানুষে পরিপূর্ণ। অনেকেই এসব এলাকা ছেড়ে যাবার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধকালীন সহিংসতায় এসব অঞ্চলে পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তাও যাচ্ছে না। ফলে খাদ্য, পানি এবং জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার হামাসের কথা উল্লেখ করে ইসরাইলি সেনাপ্রধান হার্জি হালেভি বলেন, “এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে ধ্বংস করার কোনো সহজ পথ নেই।”

যুদ্ধ বিস্তৃতির কারণে ইসরাইলি হামলায় গাজার মধ্যাঞ্চলে এ সপ্তাহে দুই দিনের ব্যবধানে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র সাইফ মাগাঙ্গো এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মঙ্গলবার বলেন, “ক্রিসমাস ইভের পর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত বোমা বর্ষণে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।”

স্থানীয় বাসিন্দারা গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসিরাত, মাগাজি ও বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর জানিয়েছে ।

ইসরাইলি সেনাপ্রধান হালেভি মঙ্গলবার গাজা সীমান্ত থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বলেন, যুদ্ধ “অনেক মাস ধরে” চলবে।

এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মঙ্গলবার এক ফোনালাপে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ লোককে হত্যা করে এবং ২৪০জনকে জিম্মি হিসেবে আটক করে। এদের মধ্যে ১২৯ জন এখনো গাজায় রয়ে গেলেও , বাকিদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

সেই ঘটনার জবাবে ইসরাইল হামাসকে দমন করার অঙ্গীকার করে এবং গাজায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্র আক্রমণ শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় গাজার বেশিরভাগ অংশই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এসব হামলায় এখনো পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ২৩ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হয়।

ভিওএ'র মিখাইলো কোমাদোভস্কি এই প্রতিবেদনটি করেছেন। প্রতিবেদনের জন্য কিছ তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG