অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পুতিনঃ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কম কথা বললেন নববর্ষের বার্তায়


মস্কোতে জাতির উদ্দেশে নববর্ষ উপলক্ষ্যে বার্ষিক ভাষণ দিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩। (স্পুটনিক/গাভরিল গ্রিগরভ/রয়টার্স মারফত পুল)
মস্কোতে জাতির উদ্দেশে নববর্ষ উপলক্ষ্যে বার্ষিক ভাষণ দিচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩। (স্পুটনিক/গাভরিল গ্রিগরভ/রয়টার্স মারফত পুল)

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রবিবার নববর্ষের বার্তায় ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে অল্প কথা বলে বিষয়টি প্রায় এড়িয়ে গেলেন। তাঁর সৈন্যদের নায়ক বলে সম্বোধন করেছেন, তবে ঐক্য ও যৌথ সংকল্পে বেশি জোর দিয়েছেন তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাসে রাশিয়ায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পুতিন।

রাশিয়ার ১১টি টাইম-জোনের প্রতিটিতে মধ্যরাতের ঠিক আগে সম্প্রচারিত পূর্ব-রেকর্ডকৃত তাঁর ভাষণের সঙ্গে গত বছরের ভাষণের ব্যাপক বৈপরিত্য ছিল, যখন তিনি ত্যাগের আহ্বান জানাতে সৈন্যদের পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ঐ যুদ্ধকে বাঁচার লড়াই বলে অভিহিত করেন।

এ বছর ক্রেমলিন প্রাচীরের ঐতিহ্যবাহী পটভূমিতে পুতিন বলেন, “সত্য ও ন্যায়ের লড়াইয়ের অগ্রভাগে যারা রয়েছেন, যারা যোদ্ধার পদে রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে বলি, আপনারাই আমাদের নায়ক, আমাদের হৃদয় আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। আমরা আপনাদের নিয়ে গর্বিত; আপনাদের সাহসকে আমরা সম্মান করি।”

ইউক্রেনের নাম উচ্চারণ করা হয়নি এই ভাষণে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী পাঠিয়ে যে যুদ্ধ পুতিন শুরু করেছিলেন তাকে “বিশেষ সামরিক অভিযান” বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

সব রকম রাজনৈতিক ভিন্নস্বরসহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী শক্তিকে কোণঠাসা করে ৭১ বছর বয়সী পুতিন যে আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২৪ বছর ধরে কুক্ষীগত করে রাখা ক্ষমতায় আবার ফিরবেন তা নিশ্চিত।

তারপরও এই যুদ্ধ ব্যাপকভাবে অচলাবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ায় গত কয়েক মাসে ইউক্রেন নিয়ে তাঁর আগের কঠোর ও জাতীয়তাবাদী বার্তা অনেক কমিয়ে দিয়েছেন। বরং অর্থনীতি ও মুদ্রাস্ফীতির মতো যে সমস্যাগুলি ভোটারদের মনের অনেক কাছাকাছি সেগুলির দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমরা একাধিকবার প্রমাণ করেছি যে কঠিনতম সমস্যাগুলি সমাধান করতে আমরা সক্ষম এবং আমরা কখনও পিছু হটবো না, কারণ আমাদের বিভক্ত করতে পারে এমন কোনও শক্তি নেই।”

XS
SM
MD
LG