বছরের প্রথম দিনে জাপানের পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানা ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া বাকিদের খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান কর্মী এবং উদ্ধারকর্মীরা সময় স্বল্পতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬২ জন নিহত হয়েছে।
৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পে বেশিরভাগ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হোনশু দ্বীপের ইশিকাওয়া জেলায়। ধ্বংসস্তূপে আটকে আছে অসংখ্য মানুষ। বেশ কয়েক ডজন বাড়িঘর ও ভবন মাটির সাথে মিশে গেছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উদ্ধার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এতে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাস্তাগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। অন্তত একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরের একটি রানওয়েতে ফাটল দেখা দিয়েছে যা জরুরি পরিষেবা কর্মকর্তাদের জন্য ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করা কঠিন করে তুলেছে।
ইশিকাওয়াতে বন্দর নগরী ওয়াজিমাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।ওয়াজিমা সকালের বাজার এবং ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের জন্য বিখ্যাত।সোমবার রাতভর দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে।
ভূমিকম্পটি এক মিটারের বেশি উচ্চতার সুনামির সূত্রপাত করে। সুনামিটি পুরো অঞ্চলে বয়ে যায়, গাড়ি, ঘরবাড়ি ভাসিয়ে সমুদ্রে নিয়ে ফেলে এবং মাছ ধরার নৌকাগুলো ডুবিয়ে দেয়।
সুনামির ঢেউয়ের আগে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা কয়েক হাজার বাসিন্দা ভীড়াক্রান্ত উচ্ছেদ কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিচ্ছেন। তাপমাত্রা হিমাঙ্কে নেমে যাওয়ায় ইশিকাওয়াতে কমপক্ষে ৩০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
জাপানের আত্মরক্ষা বাহিনীর প্রায় ১ হাজার সদস্যকে দুর্যোগপ্রবন অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।
সোমবারের ভূমিকম্পের পরে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী আফটারশক হয়েছে। এজেন্সি বলছে, আগামী কয়েকদিন ধরে আফটারশক চলতে পারে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।