অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানের তালিবানের সঙ্গে পাকিস্তানের বৈঠক আয়োজন


ফাইল-ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে পাহারায় দাঁড়িয়ে সে দেশের পুলিশ। ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।
ফাইল-ইসলামাবাদে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে পাহারায় দাঁড়িয়ে সে দেশের পুলিশ। ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালিবানের উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার জরুরি বৈঠক করলেন পাকিস্তানের কর্মকর্তারা। ভয়াবহ আন্তঃসীমান্ত হামলার বৃদ্ধির ফলে যে অস্থিরতার সূত্রপাত হয়েছে তা শান্ত করতে এই বৈঠক। প্রসঙ্গত, এই সকল হামলার জন্য অভিযুক্ত করা হয় আফগান মাটিতে ঘাঁটি গেঁড়ে থাকা সন্ত্রাসীদের উপর।

কর্মকর্তারা বলেছেন, যৌথ সমন্বয় কমিটি বা জেসিসি-র অধীনে ইসলামাবাদে আয়োজিত এক বৈঠকে প্রভাবশালী তালিবান নেতা মুল্লাহ শিরিন আখুন্দ তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সীমান্ত তদারকি ও সেই সংক্রান্ত নিরাপত্তাজনিত সমস্যা যা দুই দেশকেই ভোগাচ্ছে তা সমাধানের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

বৈঠকের পর পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে, “মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আন্তঃসীমান্ত চলাচলকে সহজ করতে সমন্বয়মূলক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জেসিসি বৈঠকে আলোচনা করেছে দুই পক্ষ।” প্রতিনিধি-স্তরে কী আলোচনা হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি ওই মন্ত্রণালয়।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেছেন, দুই বছরেরও আগে ইসলামপন্থী তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখলের পর থেকে দেশবিরোধী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটিপি ও সহযোগী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত পলাতক জঙ্গিরা “ক্রিয়াকলাপের ব্যাপক স্বাধীনতা” পেয়ে আন্তঃসীমান্ত হামলা তীব্র করেছে।

২০২৩ সালে টিটিপি-পরিচালিত বোমা বিস্ফোরণ ও বন্দুক হামলায় প্রায় ১ হাজার পাকিস্তানি নিহত হয়েছে যাদের অর্ধেকই নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন। গত ছয় বছরে হতাহতের নিরিখে এটাই সর্বোচ্চ।

আফগানিস্তানের মাটি থেকে টিটিপি বা অন্য গোষ্ঠীগুলিকে পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে হুমকি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাকে নাকচ করেছে তালিবান কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তানের “অভ্যন্তরীণ” নিরাপত্তাগত সমস্যার জন্য আফগানিস্তানকে দোষারোপ না করতে ইসলামাবাদকে তারা বারবার পরামর্শ দিয়েছে।

তালিবান কর্মকর্তারা সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আফগানিস্তানে কয়েক ডজন টিটিপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেছেন, কাবুলের এই দাবির সত্যতা তারা সুনিশ্চিত করতে পারেননি। টিটিপি নেতাদের ইসলামাবাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এই সপ্তাহের বৈঠকে তারা তালিবান প্রতিনিধিদের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন বলে ধারণা করা হয়েছিল।

আফগানিস্তানের তালিবানের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকের আগে পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভিওএ-কে বলেন, “টিটিপির উপর দমনপীড়নের প্রমাণ চোখে পড়ছে না।”

XS
SM
MD
LG