অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ নিয়ে বিতর্কের বিষয় 'প্রয়োজনে স্পষ্ট করার' কথা বললেন আইনমন্ত্রী


বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথসংক্রান্ত বিষয়ে যা হয়েছে, তা সবকিছুই সাংবিধানিকভাবে হয়েছে। তারপরও নীতিনির্ধারকেরা সংবিধানের এ–সংক্রান্ত ধারায় স্পষ্ট করার প্রয়োজন মনে করলে বিষয়টি দেখা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর বর্তমান সংসদে এমপিদের সংখ্যা এবং এ সংক্রান্ত আইনের অস্পষ্টতার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, “ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলব, নীতি-নির্ধারকেরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।”

'চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন'

বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ১৭ জানুয়ারি (বুধবার) বলেছিলেন, ''এ মুহূর্তে একাদশ সংসদের ৩৫০ জন আর ডামি দ্বাদশ সংসদের ২৯৮ জন মোট ৬৪৮ জন শপথবদ্ধ এমপি রয়েছেন। এখন রাষ্ট্রপতি সংসদ অধিবেশন ডাকলে দুই সংসদের সদস্যরাই তাতে যোগ দিতে পারেন। অথচ এটি সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।''

তিনি বলেন, ২৯ জানুয়ারি (২০২৪) একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়া অবধি এই অরাজকতা থাকবে। এটি, তাঁর ভাষায়, ''একটি চরম সাংবিধানিক লঙ্ঘন।''

তিনি বলেন, একাদশ সংসদের মেয়াদ আছে ২৯ জানুয়ারি (২০২৪) পর্যন্ত। সেই সংসদ ভেঙে না দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা অবৈধভাবে শপথ নিয়েছেন। ফলে দেশে এখন দুই সংসদের সংসদ সদস্য রয়েছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংবিধানের ৭২ (৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘রাষ্ট্রপতি আগে সংসদ ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যাবে।’

সংবিধানের এই বিধানমতে, ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৯ জানুয়ারি। যেহেতু রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেননি, সে কারণে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত একাদশ সংসদের যাঁরা সংসদ সদস্য ছিলেন, তাঁরা সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল আছেন।

XS
SM
MD
LG