অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জর্ডানে ড্রোন হামলায় তিন আমেরিকান সেনা নিহত, ৩৪ জন আহত


২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসির এই স্যাটেলাইট ছবিতে উত্তর-পূর্ব জর্ডানে টাওয়ার টোয়েন্টি নামে পরিচিত একটি সামরিক ঘাঁটি দেখা যাচ্ছে। ফাইল ছবি।
২০২৩ সালের ১২ অক্টোবর প্ল্যানেট ল্যাবস পিবিসির এই স্যাটেলাইট ছবিতে উত্তর-পূর্ব জর্ডানে টাওয়ার টোয়েন্টি নামে পরিচিত একটি সামরিক ঘাঁটি দেখা যাচ্ছে। ফাইল ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, শনিবার রাতে সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব জর্ডানে তাদের বসবাসের কোয়ার্টারে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন সেনা নিহত ও কমপক্ষে ৩৪ জন আহত হয়েছে।

ইসরাইল এবং হামাস জঙ্গিদের মধ্যে প্রায় চার মাস ধরে চলা যুদ্ধে শত্রুপক্ষের গুলিতে এটিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মৃত্যুর ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জর্ডানে হামলার জন্য সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হামলার এ দায় অস্বীকার করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানিকে উদ্ধৃত করে সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বলছে, “রেজিস্ট্যান্স গোষ্ঠীগুলো ফিলিস্তিনি জাতি বা তাদের জনগণকে কীভাবে সমর্থন দেবে, সে বিষয়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কোনো ভূমিকা নেই।”

তাৎক্ষণিকভাবে ওই তিনজন সেনা সদস্যের পরিচয় জানা যায়নি। বাইডেন তাদের ‘সর্বোচ্চ অর্থে দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

কাতাইব হিজবুল্লাহ, নুজাবা এবং ইরান সমর্থিত অন্যান্য জঙ্গিদের সমন্বয়ে গঠিত ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

সংগঠনটির একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা আগেও বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলকে সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সকল স্বার্থই আমাদের জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তু এবং যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির তোয়াক্কা করি না। আমরা জানি আমরা কোন লক্ষ্যে যাচ্ছি। মৃত্যু আমাদের জন্য পুরস্কারস্বরূপ। ”

জর্ডানের সরকারি বার্তা সংস্থা পেট্রা এক বিবৃতিতে “সিরিয়া সীমান্তে একটি ফাঁড়ি লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন সেনা নিহত এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও সীমান্ত সুরক্ষিত করতে জর্ডানকে সহযোগিতা করা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর অন্যদের আহত হওয়ার ঘটনার” নিন্দা জানিয়েছে।

জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মুহান্নাদ মুবাইদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, "এই হামলায় জর্ডান সশস্ত্র বাহিনীর কোনো কর্মকর্তা হতাহত হননি।"

ভয়েস অফ আমেরিকার ফার্সি বিভাগ এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।

XS
SM
MD
LG