অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানালো ইরাক, সিরিয়া এবং ইরান, রাশিয়া


ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সের সদস্যরা ইরাকের আল-কাইম অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানহামলার পর ভেঙে পড়া পাথর সরাচ্ছেন। (৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)
ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সের সদস্যরা ইরাকের আল-কাইম অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানহামলার পর ভেঙে পড়া পাথর সরাচ্ছেন। (৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)

সিরিয়া ও ইরাক, উভয় দেশের অভ্যন্তরে শনিবার ইরানপন্থী আধা-সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পালটা হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিরিয়া ও ইরাকের সরকার এবং তাদের মিত্র কয়েকটি দেশ নিন্দা জানিয়েছে।

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল আল-মিকদাদ এক বিবৃতিতে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হামলাগুলো “এই অঞ্চলের অস্থিরতাকে গুরুতর আকারে বৃদ্ধি করবে”। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র “সিরিয়ার সরকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে, যারা ইসলামিক স্টেট জঙ্গি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছিল”। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত সংবাদ মতে, মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের “আবারও সংগঠিত” হতে সহায়তা করার অভিযোগ এনেছে।

ইরাকের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, এই হামলা চালানোর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে, এমন দাবি অস্বীকার করে দেশটির সরকারী মুখপাত্র বাসেম আল আওয়াদি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র “বৈশ্বিক জনমতকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে”। আওয়াদি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা “ইরাককে খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে”।

ইরাকের পার্লামেন্ট “যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পরিণাম” ও “ইরাকী ভূখণ্ডে বিদেশী বাহিনীর উপস্থিতি” নিয়ে আলোচনার জন্য একটি জরুরি অধিবেশন আহ্বান করেছে।

ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্স ডেভিড বেকারকে তলব করে উদ্বেগ প্রকাশ করবে।

ইরান এই হামলাকে “সিরিয়া ও ইরাকের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন” হিসেবে অভিহিত করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি যুক্তরাষ্ট্রের এসব হামলাকে “গুরুতর কৌশলগত ভুল” হিসেবে অভিহিত করেন।

সিরিয়া ও ইরানের মিত্র রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে “মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ ও ধ্বংসের বীজ বপন” করার অভিযোগ এনেছে।

XS
SM
MD
LG