অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা: 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে', জানালেন বিজিবি মহাপরিচালক


মিয়ানমার সীমান্তে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা
মিয়ানমার সীমান্তে সংঘর্ষ ও উত্তেজনা

মিয়ানমার সীমান্তে সংঘর্ষ ও উত্তেজনার মধ্যে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর মহাপরিচালক জানিয়েছেন যে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত মিয়ানমারের ২৬৪ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

তাদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে বিজিবি; জানান তিনি। বলেন, রবিবার (৪ ফেব্রয়ারি) সকাল থেকে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে।

সীমান্ত পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি। “আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রেখে যতটা সম্ভব মানবিক উপায়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করছি, ” তিনি বলেন।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব

ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতির কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার উইং) মিয়া মো. মাইনুল কবির রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক বৈঠকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি প্রতিবাদলিপি হস্তান্তর করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।”

তিনি জানান, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উদ্বেগ ও প্রতিবাদ তার সরকারের কাছে জানাবেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

বিজিবি প্রধানের বক্তব্য

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় এ কথা বলেন নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক।

বিজিবি মহাপরিচালক জানান, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত ১১৫ জন ও মঙ্গলবার (৬ ফেব্রয়ারি) সকালে আরো ১১৪ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী আত্মসমর্পণ করেছেন। দুপুরে যোগ হয় আরো ৩৫ জন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীদের কাছে, মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ২৬৪ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন।

“আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি, খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এরমধ্যে ১৫ জন আহত ছিলো; ৮ জন গুরুতর আহত। এদের মধ্যে ৪ জনকে কক্সবাজার ও ৪ জনকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে;” জানান বিজিবি মহাপরিচালক।

মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জানান, দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজন রোহিঙ্গা ও একজন নারী নিহত হয়েছেন। “এসব মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমন পরিস্থিতি সমাধান করতে আমরা চেষ্টা করছি;” তিনি বলেন।

“নৌকাযোগে ৬৫ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুশব্যাকের চেষ্টা চলছে। কোনো অবস্থাতেই রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দেয়া হবে না,” যোগ করেন মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের নির্দেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।।

ঢাকার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে লিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।
ঢাকার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে লিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।

আইজিপি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ঘুমধুম সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আইজিপি জানান, “আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। জেলা পুলিশের পাশাপাশি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে এবং সীমান্তে বিজিবি সক্রিয়ভাবে টহল দিচ্ছে।”

“আমাদের বাহিনীকে স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতা করছে;” জানান আইজিপি।

ঘুমধুম সীমান্তে বাংলাদেশি নারীসহ দুইজনের মৃত্যুর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আইজিপি নিশ্চিত করেন, এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলীতে একটি বাড়িতে সোমবার মর্টার শেল এসে পড়ায় এক নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন বাদশা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা (৫০)। অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পালিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।

এর আগে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়।”

“মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে;”উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের এ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কিছু থাকলে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে জানানোর পাশাপাশি, বিষয়টি জাতিসংঘের নজরে আনবে বাংলাদেশ।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের প্রয়াস চলছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “শুধু মিয়ানমার নয়, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। যে কোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আমাদের সিদ্ধান্ত আছে।”

“বাংলাদেশের সঙ্গে যদি মিয়ানমারের দ্বন্দ্বের কোনো বিষয় আসে, তাহলে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। আর আন্তর্জাতিক ফোরাম আছে। জাতিসংঘের একটা ভূমিকা থাকবে;” উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিএনপির উদ্বেগ প্রকাশ, সরকারের সমালোচনা

মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেয়া এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আর, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে সরকারের সমালোচনা করেছে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ জানাতে না পারায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও প্রতিপত্তি রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রিজভী। তিনি বলেন, “আমাদের সীমান্ত এখন অরক্ষিত। সরকারের নতজানু নীতির কারণে সেখানে রক্ত ঝরছে।”

সরকার বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করায়, মিয়ানমার সীমান্তে গোলযোগ সৃষ্টি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন রুহুল কবির রিজভী।

বর্তমান সরকারের সক্ষমতা ও জনসমর্থন না থাকায়, প্রতিবাদ করতে ভয় পায় বলে উল্লেখ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব।

তিনি বলেন, “অন্য কোনো দেশ যখন আমাদের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করছে, তখন তাদের (সরকারের) জনসমর্থন না থাকায় তারা কিছুই করতে পারছে না। তারা ক্ষমতা দখল করে এবং জনগণকে জিম্মি করে অন্যের আধিপত্য মেনে নিয়েছে।"

'সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় সীমান্ত বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে'

বিবৃতিতে বিএনপি আরও বলেছে, দেশের সীমান্ত যে কোনো সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে; কারণ মিয়ানমারের শত শত নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই, সংঘর্ষ ও গোলাগুলি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চলমান যুদ্ধে ব্যবহৃত গুলি, মর্টার শেল এবং বিস্ফোরিত রকেট লঞ্চার শেল প্রতিদিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ছে। এতে মানুষের ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রাণহানি এবং আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে; বিবৃতিতে উল্লেখ করে বিএনপি।

স্থানীয় লোকজন জীবনের নিরাপত্তার জন্য সীমান্ত এলাকা ছাড়ছেন। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুলগুলো।

সোমবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপৈতলী গ্রামের রান্নাঘরে মিয়ানমারের দিক থেকে মর্টারের গোলা এসে পড়লে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

বিএনপি বলেছে, প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) শতাধিক সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের শত শত নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তে ভিড় করছে; যা যে কোনো মুহুর্তে সীমান্তকে নিয়ন্ত্রণহীন করে তুলতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের অনির্বাচিত ডামি সরকার ফাঁকা বুলি-বক্তব্য দিচ্ছে। বাংলাদেশের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দ্রুত কার্যকর রাজনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলা না করে, ধৈর্য ধারণ ও সংযম প্রদর্শনের আহবান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে, সরকারের এই আহবানকে নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করে এবং গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি।

বিএনপি বলেছে, “জনসমর্থনহীন সরকার আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।”

আওয়ামী লীগ সরকার অনির্বাচিত ও মূল্যহীন হওয়ায়, সীমান্তে বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাহস নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলে উল্লেখ করে বিএনপি।

বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, “যখন আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অন্য দেশের দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হয়, আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়, সেসময়ও শেখ হাসিনার ডামি সরকার কিছুই করতে পারে না। কারণ তারা বন্দুকের নলের মুখে মানুষকে জিম্মি করে অন্যের আধিপত্য মেনে নিয়েছে।”

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকার বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে কূটনৈতিক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করে বিএনপি।

দলটি বলেছে, “এই সরকারের আজ্ঞাবহ নীতির কারণে জাতীয় সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে এবং জননিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আওয়ামী ডামি সরকার কেবল দেশে বিরোধী দলকে দমন করতে সক্ষম।”

বিএনপি প্রশ্ন করেছে, “ভীতসন্ত্রস্ত' সরকার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে দেশের মানুষ নিহত হওয়ার সময় সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এর দায়িত্ব কি শুধু বাংলাদেশিদের লাশ গ্রহণ করা?”

XS
SM
MD
LG