অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিশরে এবং কাতারে আলোচনায় জোর দিয়েছেন ব্লিনকেন


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে কায়রো বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়। (৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে কায়রো বিমানবন্দরে স্বাগত জানানো হয়। (৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪)

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন মঙ্গলবার মিশর ও কাতারের নেতাদের সাথে আলোচনা করেন। ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর চাপের সাথে গাজায় নতুন করে সাময়িক যুদ্ধবিরতির ব্যাপারটিতেও চাপ অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

ব্লিনকেন কায়রোতে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কাতারের ক্ষমতাসীন আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানির সঙ্গে আলোচনার জন্য দোহায় যাওয়ার কথা রয়েছে তার।

বর্তমানে বিবেচনাধীন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতার সহায়তা করেছে। প্রস্তাবটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা এই যুদ্ধে বিরতির সাথে গাজায় হামাসের হাতে বন্দী বাকি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

সাংবাদিকদের যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, “বল এখন হামাসের কোর্টে।”

তিনি আরও বলেন, যদিও মিশর ও কাতার হামাসকে একটি “শক্তিশালী, জোরালো প্রস্তাব” মেনে নিতে চাপ দিয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তো হামাসেরই হাতে।

এর আগে নভেম্বরের শেষের দিকে এক সপ্তাহ ব্যাপী একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। যাতে গাজা থেকে হামাসের হাতে আটক ১০০ জনেরও বেশি জিম্মি এবং ইসরাইলের হাতে আটক ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

ব্লিনকেন সোমবার সৌদি আরবে তার সফর শুরু করেছেন । ইসরাইল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরও এই সফরের অন্তর্ভুক্ত ।

রিয়াদে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক নিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, কর্মকর্তারা আঞ্চলিক সমন্বয় বিষয়ে আলোচনা করেছেন, “যা গাজায় সংকটের স্থায়ী অবসানে, একই সাথে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”

সংহত ও সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তোলার গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে আলোচনায়।

ইসরাইলের হিসাব অনুযায়ী, গত অক্টোবরে হামাস ইসরাইলে ঢুকে প্রায় ১২০০ মানুষকে হত্যা এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। এরপর গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করে ইসরাইল।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গাজায় ইসরাইলের সামরিক বিমান ও স্থল অভিযানে ২৭ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৬ হাজার ৯০০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

ভয়েস অব আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো প্রধান নাইকি চিং এই প্রতিবেদনে অবদান রেখেছেন। কিছু তথ্য এএফপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG