অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইসরাইল খান ইউনিসে হাসপাতালের ভেতরে অভিযান চালিয়েছে


ইসরাইলের স্থল অভিযানের কারণে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল থেকে ফিলিস্তিনি রোগীদের সরিয়ে নেয়ার পরে তারা রাফায় পৌঁছেছেন।
ইসরাইলের স্থল অভিযানের কারণে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল থেকে ফিলিস্তিনি রোগীদের সরিয়ে নেয়ার পরে তারা রাফায় পৌঁছেছেন।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হাসপাতালের ভেতর অভিযান চালাচ্ছে। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে জিম্মি আছে এবং নাসের হাসপাতাল কেন্দ্রে ইসরাইলের জিম্মিদের লাশ থাকতে পারে।

গত সপ্তাহে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই এলাকায় ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিবর্ষণের কারণে লোকজনের এলাকা ত্যাগ করা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসকরা হাসপাতালের পরিস্থিতি নিরাপদ নয় বলে সতর্ক করেছেন।

ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স এই আদেশের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, হাসপাতালের কর্মীরা ‘প্রায় অসম্ভব পরিস্থিতিতে’ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

ইসরাইল পুরো যুদ্ধ জুড়ে গাজা ভূখণ্ডের কিছু অংশ খালি করার জন্য লোকজনকে নির্দেশ দেয়ার ঘোষণার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য এই সতর্কতা দেয়া হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাশিত স্থল অভিযানের আগে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ড রাফায় ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যা সর্বসাম্প্রতিক।

নেতানিয়াহু রাফা আক্রমণ কখন ঘটতে পারে সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেননি, তবে বুধবার তিনি বলেছিলেন যে, তার সেনাবাহিনী গাজায় হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।

বুধবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরও বলেছে, সর্বসাম্প্রতিক আলোচনায় হামাস চার মাসব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং গাজায় জঙ্গিদের আটকে রাখা ১০০ বা তার বেশি জিম্মির মধ্যে আরও অনেককে মুক্তি দেয়া সংক্রান্ত নতুন কোনো প্রস্তাব দেয়নি। হামাস গাজা থেকে ইসরাইলের সব সেনা প্রত্যাহার এবং জঙ্গিদের গাজা শাসন অব্যাহত রাখতে দেয়ার দাবি করে আসছে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, “হামাসের অবস্থান পরিবর্তিত হলে আলোচনায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।”

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG