অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শহীদ দিবসের আলাচনায় বিএনপি: ‘ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করতে শেখায়’


এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা এবং সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার। ২০ ফেব্রয়ারি, ২০২৪।
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা এবং সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার। ২০ ফেব্রয়ারি, ২০২৪।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উপায় হিসেবে, তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতা, সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রয়ারি) এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

জমির উদ্দিন সরকার আরো বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সারাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে।” তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন জনগণকে মাথা নত না করতে শেখায়। সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঘুরে দাঁড়াবে।

“আমাদের এখন জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলতে হবে, বিএনপি মানেই শান্তি, গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। ইনশাল্লাহ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে;” যোগ করেন সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারণে দেশ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। “বিএনপি নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় দীর্ঘদিন ধরে কঠিন সময় পার করছে;” বলেন তিনি।

জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ভাষা আন্দোলন কোনো গতানুগতিক আন্দোলন নয়, এটি একটি আদর্শিক আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন ছিলো বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।

“ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই ভাষা আন্দোলন আমাদের শিক্ষা দেয়, আমরা মাথা নত না করে আমাদের অধিকার আদায় করবো। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে;” বলেন বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাঙালি হলো সেই জাতি, যারা জীবন দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা গত শতাব্দীতে বাংলা ছিলো শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের শহীদ মিনার দিয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সুবাদে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শহীদ মিনার তৈরির অবস্থা হয়েছে।”

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, তাদের দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন হয়েছে। “দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫৩ বছর পর , এখন আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছি, যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে;” বলেন আবদুল মঈন খান।

তিনি আরো বলেন, “আসুন আমরা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি। দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো।”

হাছান মাহমুদ: ‘বিএনপি নেতারা অসংলগ্ন কথা বলছেন’

এদিকে, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়া, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম, আমীর খসরু সাহেবরা নিজেদের মুখ রক্ষার জন্য অসংলগ্ন কথা বলছেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানী ঢাকায়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপির নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ; তারা একন তোপের মুখে পড়েছেন। আর বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিগত যে কোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।

“যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলো, নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলো, তারা এখন চুপসে গেছে, তাদের চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, এখন কি করবে দিশা পাচ্ছে না;” বলেন আ্ওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

“বিএনপির উচিত সন্ত্রাসী অপতৎপরতা এবং সবকিছুতে না বলার অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করা;” যোগ করেন হাছান মাহমুদ।

XS
SM
MD
LG