বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় নিপুণ চাকমা চোগা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ নিপুণ চাকমাকে তাদের সদস্য বলে দাবি করেছে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে এসে দুই ব্যক্তি তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে এলাকার লোকজন।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর বনবিহারে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন নিপুন চাকমা ও তার সহকর্মীরা। সেখানে নিপুণ চাকমাকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানান তারা।
ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের বঙ্গলতলী এলাকার সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা বলেন, “জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের দুই সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনা স্থলে নিপুণ চাকমা চোগার মৃত্যু হয়।”
এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান আর্জেন্ট চাকমা। তবে, এই হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করেছে জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ।
জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের উপজেলা সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা বলেন, “এই হত্যার সঙ্গে জেএসএস এমএন লারমা দল কোনোভাবেই জড়িত নয়। এই হত্যাকাণ্ড ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়।”
হত্যা কান্ডের প্রতিবাদে রবিবার (২৫ ফেব্রয়ারি) বাঘাইছড়ি উপজেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধের ডাক দেয় ইউপিডিএফ।
রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল জানান, বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়েছে। এলাকাটি দুর্গম এবং রাত হওয়ায় পুলিশ পৌঁছাতে সময় লেগেছে।
উল্লেখ, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে একই উপায়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় জেএসএসের সন্তু লারমা দলেকে দায়ী করে ইউপিডিএফ।
পরে, নিহত দীপায়ন চাকমার স্ত্রী এশিয়া চাকমা বাদী হয়ে সাজেক থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অভিযুক্ত কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
