ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া গেছে যাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর ২০০টিরও বেশি উপাদান ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এর ফলে সেই ধরণের ত্রুটি বেরিয়ে পড়ে যা উত্তর কোরিয়া তার প্রতি আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য ব্যবহার করছে।
সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিন ওয়ানসিক বলেন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়াকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করতে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কারখানাগুলো পুরোদমে সক্রিয় রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমে শিন জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া হিসেব অনুযায়ী পিয়ংইয়ং সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়াকে প্রায় ৬,৭০০ কন্টেইনার পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে এই সংখ্যা আরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের হিসেবে দেখা গেছে সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর কোরিয়া ১০,০০০ কন্টেইনারেরও বেশি অস্ত্র-শস্ত্র বা এই ধরণের সাজসরঞ্জাম রাশিয়াকে পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এই হিসেব শুক্রবার ঘোষণা করে যখন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ৫০০ টিরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের মতে ডিসেম্বর থেকেই উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রগুলি ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা বৃহস্পতিবার জানায় যে রাশিয়া তখন থেকে কমপক্ষে ২০টি উত্তর কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তারা এ ও জানায় যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি বেসামরিক লোকজনকে নিহত বা আহত করেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা পরিচালিত ২৬ জানুয়ারির এক সংবাদ বিবৃতিতে রাশিয়া উত্তর কো্রিয়ার সঙ্গে কোন রকম সামরিক বা প্রাযৌক্তিক সহযোগিতার কথা অস্বীকার করেছে।
ভিওএ নিউ ইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার মিশনের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
তদন্তকারীরা নিশ্চিত যে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে ২ জানুয়ারি পাওয়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির তৈরি।