অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে’, বললেন নজরুল ইসলাম খান


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বাংলাদেশে এখন আওয়ামী লীগ স্টাইলের গণতন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

“ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায়, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এক অনন্য পার্লামেন্ট;” বলেন নজরুল ইসলাম খান।

“এটা এক অদ্ভুত ধরনের সংসদ; যেখানে ক্ষমতাসীন দলের রয়েছে ৩৩৭টি আসন। আর, তাদের দয়ায় বিরোধী দলের আছে ১৩টি আসন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ভিন্ন নয়, যেহেতু তারা আওয়ামী লীগের সদস্য;” যোগ করেন তিনি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উল্লেখ করেন যে এ ধরনের গণতন্ত্রের জন্য ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হয়নি। তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে আমাদের গণতন্ত্র সমাহিত হয়।”

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ক্ষমতায়ন ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “পরবর্তীতে ১৯৮২ সালে স্বৈরাচারী এইচ এম এরশাদ আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেয় এবং ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া তা আবার ফিরিয়ে আনেন।”

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি ছাড়া কোনো রাজনৈতিক দল এত ত্যাগ স্বীকার করেনি বলে উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম খান। জানান, তাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী কারাগারে রয়েছেন এবং বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় দোষী করা হয়েছে।

এদিকে, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী অধিবেশনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপির কড়া সমালোচনা করেছেন।

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০২৩ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংসতা ও অগ্নিকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরেন। এসময় একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট প্রদর্শন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের অগ্নিসন্ত্রাসে এখনো অনেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।

বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন; এই অভিযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, “কারা রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে পরিচিত হবে?” তিনি আরো বলেন, যারা আগুন জ্বালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তারা কীভাবে রাজনৈতিক বন্দী হতে পারে। বরং তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও অপরাধী।

“রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। যারা গ্রেপ্তার রয়েছেন, তারা হয় হুকুমদাতা, সরাসরি ঘটনার সঙ্গে জড়িত বা অর্থদাতা। সুতরাং, অর্থদাতা, হুকুমদাতা বা যারা সরাসরি জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না;” শেখ হাসিনা আরো বলেন।

XS
SM
MD
LG