অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইইউ'র বিবৃতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: ‘নির্বাচন নিয়ে তারা যা বলেছে বাংলাদেশে তা ঘটেনি’


ঢাকায় পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ৯ মার্চ, ২০২৪।
ঢাকায় পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ৯ মার্চ, ২০২৪।

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ইইউ'র বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনী প্রচার সুষ্ঠু হয়েছে। তারা যা বলেছেন বাংলাদেশে তা ঘটেনি। ”

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানী ঢাকায়, পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, বিএনপি নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করছে। অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “কে কী বললেন, সেটা আমাদের বিষয় নয়।”

এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি প্রতিনিয়ত মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।” তিনি আরো বলেন, “আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কীভাবে বিভ্রান্ত হচ্ছে, সেটা আমাদের বিষয় নয়। আমরা স্পষ্ট করে বলতে পারি, তারা যা বলেছেন বাংলাদেশে তা ঘটেনি।”

“দু-একটি বাদে সব দেশই আমাদের প্রশংসা করেছে। তারা মনে করেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে;” আসাদুজ্জামান খান যোগ করেন।

ইইউ প্রতিবেদন

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইলেকশন এক্সপার্ট মিশন একটি প্রতিবেদন তৈরি করে এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মিশনের ফলাফল উপস্থাপন করে।

প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশের ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামগ্রিকভাবে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য কিছু মৌলিক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পূরণ করেনি।

অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য বিষয় সমাবেশ, সংগঠন, আন্দোলন এবং বক্তব্যের স্বাধীনতাসহ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারগুলো সীমাবদ্ধ ছিলো।

এছাড়া, বিচারিক কার্যক্রম ও গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা মারাত্মকভাবে সীমিত ছিলো।”

৭ জানুয়ারির নির্বাচন

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারী ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের ২২৩ টিতে জিতে, দুই তৃতীয়াংশের ওপর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনে অংশ নেয় ২৮ টি দল। এর মধ্যে, ২৪ টি দল থেকে একজনও জয়লাভ করেনি। আর, হেরে যাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই জামানত হারিয়েছেন। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ১১ ও জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যান পার্টি থেকে জিতেছেন ১ জন করে।

এদের মধ্যে, জাতীয় পার্টির ১১ জনই জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে, যেসব জায়গা থেকে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো, সেসব নির্বাচনী এলাকায়।

জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন নৌকা নিয়ে লড়ে, আর কল্যান পার্টিও তার আসনটি জিতেছে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে।

বিজয়ী ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জনই আওয়ামী লীগের নেতা।

XS
SM
MD
LG