এ বছরের ডিসেম্বর মধ্যে বাংলাদেশের দুর্বল ব্যাংকগুলো চাইলে স্বেচ্ছায় ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে পারবে। ডিসেম্বরের পর ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারাবে। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে কোন ব্যাংক কোন ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হবে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য জানান।
শক্তিশালী ব্যাংকের সঙ্গে ১০টি দুর্বল ব্যাংকের একীভূতকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, “বৈশ্বিক মান বজায় রাখতে ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হবে এবং আমানতকারীরা এই প্রক্রিয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে কিছু ভালো ব্যাংককেও হলুদ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণত একটি নির্দিষ্ট ব্যাংকের প্রকৃত ব্যালেন্সের ভিত্তিতে কাজ করে। প্রবিধানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তিন ও ছয় মাসের ভিত্তিতে ব্যাংকের কার্যক্রম ও আর্থিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ নানা সময়ে ব্যাংকের তালিকা করে থাকে। এই তালিকাটা ধারণাভিত্তিক। যেখানে কোন পরিস্থিতি হলে কী হবে, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়। ব্যাংকের স্বাস্থ্য দেখার একমাত্র উপাদান নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, যা ক্যামেলস পদ্ধতির মাধ্যমে দেখা হয়।
উল্লেখ্য, ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে, এমন আলোচনার মধ্যে ৪ মার্চ ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকসের (বিএবি) একটি প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়ে দেয়, চলতি বছরের মধ্যে ৭ থেকে ১০টি দুর্বল ব্যাংক সবল বা ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের ইচ্ছায় একীভূত না হলে ২০২৫ সাল থেকে তাদের চাপ দিয়ে একীভূত করা হবে।
ওই বৈঠকে আরও জানানো হয়, দুর্বল ব্যাংকের খারাপ সম্পদ (ঋণ) কিনে নেবে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি (এএমসি)। ফলে একীভূত হওয়ার কারণে ভালো ব্যাংকগুলোর খারাপ হয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর পরিচালকেরা ভালো ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন।
